মুরাদনগরে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের কল্যানে জমি পেয়েছে মমতাজ বেগম।
প্রিয়ন্ত মজুমদার, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃকুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দড়িকান্দি, রহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা নিতান্তই দরিদ্র মমতাজ বেগম। অভাব হচ্ছে তাঁর নিত্যসঙ্গী। রোদ, বৃষ্টি ও তীব্র শীতের সাথে আলিঙ্গন করে গাছ তলায়,কখনো অন্যের বাড়ীর বারান্দায় জীবন কেঁটে যাচ্ছিল মমতাজ বেগমের।অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে তাঁর। এক বেলা খাবার খেতে পায় তো আরেক বেলা পায় না। তার কাছে একটি নতুন ঘরের স্বপ্ন যেন “গোবরে পদ্মফুল”। তারপরও স্বপ্ন দেখতেন, একদিন একটা ঘর হবে। নিজের বাঁচার জন্য একটা স্থায়ী ঠিকানা হবে।
কিন্তু অভাবের সংসারে পিষ্ট জীবনে কি নতুন কোনো ঘর নির্মাণের স্বপ্ন দেখা যায়? মমতাজ বেগম ধরেই নিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার নয়।দরিদ্র মমতাজ বেগমের এই দুর্দশা নজরে আসে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের।শুভসংঘের বন্ধুরা ঠিক করলেন এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়াবেন। মমতাজ বেগমের একটি স্থায়ী ঠিকানার ব্যাবস্থা করে দিবেন।
সেই সুবাদে শুভসংঘ দিল জায়গা।মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘর করে দেয়ার জন্য দিবে যাবতীয় মালামাল। শুভসংঘের বন্ধুগণ ২.২৫ শতাংশ জায়গার দলিল হন্তান্তর করতে গেলে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মরিয়ম বেগম।সেই সঙ্গে মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমানের মুখ থেকে যখন শুনলেন দান করা জায়গায় নির্মাণ হবে ঘর এমন খবরে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ ছিল তাঁর চোখে মুখে। আবেগে দু’চোখ বেয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরছিল শুধু তখন, চারদিক স্তব্ধ ছিল মমতাজ বেগমের আনন্দ অশ্রুর ফোঁটায়।
‘কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মুরাদনগর উপজেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, অতিদরিদ্র মমতাজ বেগমকে ঘর করার জন্য জমি দিতে পেরে সত্যিই আমরা আনন্দিত।
মমতাজ বেগমের আশা, শুভসংঘের দেয়া জায়গায় পুলিশ ঘরটা করে দিলে মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। বাকিটা জীবন সন্তানদের নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। তাঁর একটা পাকা ঘর হতে পারে কল্পনাও করেননি তিনি কোনো দিন। মমতাজ বেগমের মুখে এখন নির্মল আর তৃপ্তির হাসি।
মুরাদনগর থানা ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, মজিব বর্ষ উপলক্ষে আমাদের ইন্সেক্টের জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বেনজির আহমেদের পক্ষ থেকে মমতাজ বেগমকে ঘর নির্মান করে দিবো। মুরাদনগর উপজেলার কালের কণ্ঠের শুভসংঘ দিয়েছে জমি। তাদের এ উদ্যোগকে শুধুবাদ জানাই।