পাবনায় সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এক শিশুকে উদ্ধারে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে।
মোঃ শুভ হাসান, পাবনা জেলা প্রতিনিধি: বুধবার বিকেলে সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের খয়রান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে আহত পুলিশ সদস্যদের সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন, সুজানগর থানার এ,এসআই শফিকুল ইসলাম এবং কনস্টেবল মামুন।
এ ঘটনায় পাবনা সদর উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন খানের ছেলে শাহাদত আলীকে আটক করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের আরিয়া গোহাইলবাড়ি গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী গত বছর আত্মহত্যা করেন।
মারজিয়া নামে সাড়ে তিন বছরের তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে মায়ের মৃত্যুর পর হাসান আলীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারজিয়াকে পাশের গ্রাম তারাবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে মেয়েকে ফিরে পেতে হাসান আলী আদালতের শরণাপন্ন হন। অন্যদিকে তার শ্যালক শাহাদত আলী মারজিয়াকে ‘টাকার বিনিময়ে’ সুজানগর উপজেলার খয়রান গ্রামের নিঃসন্তান সাইফুল ইসলাম মল্লিকের কাছে দত্তক দেন। গত দেড় মাস ধরে সাইফুল ইসলাম মারজিয়াকে লালন পালন করছিলেন।
এদিকে, আদালতের রায় পেয়ে হাসান আলী সুজানগর থানায় পুলিশের শরণাপন্ন হন। বুধবার বিকেলে তার মেয়েকে ফিরে পেতে দত্তক গ্রহণকারী সাইফুল মল্লিকের বাড়িতে যান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সাইফুল মেয়েটির নানা জালাল উদ্দিন খান এবং মামা শাহাদত আলীকে ডেকে পাঠান। তারা সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর ব্যাপক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটির মামা শাহাদত লোকজনকে ছুরি মারার চেষ্টা করেন।
এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানান ওসি। তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছুরিসহ শাহাদতকে আটক করে।