চট্টগ্রামের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সারোয়ার রিমান্ডে

চট্টগ্রাম: অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেনকে একদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান।
এর আগে গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরেই ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সারোয়ার হোসেন। এরপর তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে একটি একে ২২ রাইফেল, ৩০ রাউন্ড গুলি, দুটি এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার খোন্দকারাবাদ কালু মুন্সীর বাড়ির আবদুল কাদেরের বাড়ির উত্তর পাশে মাটির নিচ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।
তিনি বলেন, গত শনিবার গভীররাতে সারোয়ারকে চট্টগ্রাম আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তার বাড়িতে থাকা অস্ত্রের সন্ধান দেন তিনি। মাটির নিচ থেকে একটি একে ২২ রাইফেল, ৩০ রাউন্ড গুলি, দুটি এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত মামলায় সারোয়ারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালের ৬ জুলাই একে-৪৭ রাইফেলসহ পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সারোয়ার হোসেন ও নুরনবী ম্যাক্সনকে গ্রেপ্তার করে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। তারা ভারতের কারাগারে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পান।
৬ বছর বন্দি থাকার পর ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান সারোয়ার হোসেন ও নুরনবী ম্যাক্সন। এরপর দুইজনই পালিয়ে কাতার চলে যান। সেখানে বসে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, অক্সিজেন, মুরাদপুর, কুয়াইশ এলাকায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে কয়েক মাস আগে মারামারির ঘটনায় সারোয়ার হোসেন ও নুরনবী ম্যাক্সনকে গ্রেপ্তার করে কাতারের পুলিশ। প্রায় দেড় মাস আগে নুরনবী ম্যাক্সনকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর দেশে ফিরে পলাতক তিনি। অন্যদিকে সারোয়ারকে শনিবার দেশে ফেরত পাঠানোর পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।