“দেশের প্রথম নারী রাজাকার খালেদা” মেয়র, চ সি ক- এম রেজাউল করিম
চট্টগ্রাম সংবাদ:চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগ এর সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, “খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা নন বরং দেশের প্রথম নারী রাজাকার। যখন পাকি সেনারা এদেশের লক্ষ লক্ষ মা-বোনদের অমানবিক নির্যাতন করছে, তখন কী যাদু বলে খালেদার স্বামী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়া স্বত্ত্বেও খালেদা নয় মাস ছেলেদের নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এ চিকেন রোস্ট দিয়ে লাঞ্চ ডিনার সেরেছে জাতির এই প্রশ্নের জবাব ফখরুল সাহেবদের দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি না করে বিএনপির উচিত যুবলীগের মানবিক কার্যক্রম এর মতো মানুষের জন্য রাজনীতি করা।
তাহলেই আর ইতিহাস বিকৃতি করা বা বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়ার দরকার হবে না।” তিনি আজ বিকাল ৪টায় নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু’র উদ্যোগে বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে সমাবেশ ও রমজান উপলক্ষ্যে দু:স্থদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সাবেক ছাত্র নেতা জাকের আহমেদ খোকনের এর সভাপতিত্বে ও মহানগর যুবলীগ নেতা আনিফুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, “স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকি বাহিনীর টর্চার সেলে আমাদের বাঙালি মা বোনদের নিয়মিত ধর্ষণ করা হতো গর্ভধারণ না করা পর্যন্ত। বিবস্ত্র করে রাখা হতো যাতে পালাতে না পারে।
চুল কেটে রাখা হতো যাতে আত্মহত্যা করতে না পারে। আর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নারী হলে তো নির্যাতনের বর্ণনা মানব ইতিহাসের লজ্জাজনক ঘটনা। অথচ একজন সেক্টর কমান্ডার এর স্ত্রীকে ওরা কিছু করলো না, আদর করে রাখলো জাতি এই রহস্য জানতে চায়। আসলে খালেদা জিয়া তার স্বামীর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর পাকিস্তানীদের জানিয়ে দিতো। তাই খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং নারী রাজাকার।” সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর (সিবি)এর সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক,নুরনবী পারভেজ,রন্জীত শীল,মো: লোকমান,জামিল আহমেদ মিলন,মাহাবুবুল সিদ্দিক, ইমতিয়াজ আহমেদ বাবলা, ইকবাল হোসেন, রাশেদ চৌধুরী, জাহেদ হোসেন খোকন,সালাউদ্দিন বাবর,ইমতিয়াজ সুমন,আবদুল আল মামুন, মোঃইসমাইল, যুবায়ের হোসেন অভি,সাজিবুল ইসলাম সজীব, এমরান হোসাইন,
হোসেন আহমেদ মিলন,কাজী আরিফ,সরেওয়ার, নুরুল ইসলাম রাসেল, ফরহাদ আবদুল্লাহ, মাহামুদুর রহমান বাপ্পি, আবু নাসের জুয়েল, মারুফ ইসলাম, আকবর জুয়েল, আবিদ হাসান, মোশাররফ হোসেন শিপলু,নুরুল ইসলাম রিয়াদ,মঈনুদ্দিন মিয়াজি, মনিরুল হক মনির, রমজান আলী,মাসুম, অর্জুন দাস,হ্রদয় দাশ,অপু দাশ, অপু সরকার,তৌহিদুল ইসলাম, রানা মোতালেব, নেজাম,আপসার,মামুন, মিজান,টিপু জুয়েল, মনির,জাবেদ, সাজ্জাদ, রাশেদ, রতন দাশ,রাজু,এনামুল হক, শহীদুল ইসলাম, সাহেদুল ইসলাম, ইফতেখার উদ্দিন ইফতি,জয়বাদশা,নুর এলাহি সানি,কামাল, আবু সাঈদ সহিদ,বশির সরকার, আবদুল আউয়াল প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ এর পরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এর নির্দেশনায় ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল এর তত্ত্বাবধানে “মানবিক যুবলীগ” কার্য্যক্রম এর আওতায় রমজান মাস ব্যাপী দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্য্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।