স্বপদে বহাল মানবতা,করোনা আক্রান্ত ডাক্তারকে প্লাজমা প্রদান
মুজিবুল হক,বিশেষ প্রতিবেদক: করোনা আক্রান্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সমীরুল ইসলাম এর জন্য দরকার ছিলো সদ্য করোনা যুদ্ধে জয় লাভ করা(AB+ রক্তের গ্রুপ সম্পন্ন)রোগীর প্লাজমা।জনদরদী ও মানবিক একজন ডাক্তার সাথে সাথে করোনা যুদ্ধে সম্মুখ যোদ্ধা একজন ডাক্তারকে বাঁচাতে বিভিন্ন মহল থেকে শুরু হয় প্লাজমা খোঁজার পায়তারা।সেই ডাক্তারকে প্লাজমা দিতে এগিয়ে এসেছেন মিয়া মোঃ তারেক,তিনি সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী।যিনি করোনা নামক মরণঘাতী ভাইরাসের সাথে সদ্য যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে ফিরেছেন।তাঁর কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহের রক্তেই চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো প্লাজমা প্রয়োগ হলো। এই পুরো মানবিক কাজে সহযোগিতা করেছেন কোতােয়ালি থানার ওসি মুহাম্মদ মসহীন।তাঁর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন-”করোনাযোদ্ধা ডাক্তারকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন তিনিই।তার দেওয়া রক্তেই চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো প্লাজমা প্রয়োগ হল।

ইনি মিয়া মোঃ তারেক। সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী।নিজে করোনা রোগী ছিলেন। তাই বুঝেন এর যন্ত্রণা।চারদিন আগে আমার অফিসে আসেন। তখন তাকে অনুরোধ করেছিলাম তার করোনাজয়ের গল্পটা বলতে।তিনি আমার পেইজে সে গল্প বলেছিলেন।একইসাথে করোনাযুদ্ধে যেকোন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।গতকাল করোনাযোদ্ধা ডাক্তারের জন্য হন্যে হয়ে রক্তের সন্ধান করছিলেন আমাদের আমেনা স্যার। আমাকে ফোন করে জানালে আমি শরণাপন্ন হই তারেক ভাইয়ের। আমি ভেবেছিলাম উনাকে কনভিন্স করতে হবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়েই তিনি নিজ থেকেই বললেন, ‘কোথায় যেতে হবে বলুন!’ মেডিকেল সুত্রে জানা গিয়েছে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের পর সুস্থ আছেন ডাঃসমীরুল ইসলাম। উল্লেখ্য দেশে প্লাজমা থ্যারাপীর ধারণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রবিউল হাসান ভূঁইয়া এবং আশার কথা হলো করোণা মহামারীর বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগে সফলতা মিলছে।