

জলিলুর রহমান জনি,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করেছে।বুধবার, ১৩ আগস্ট, সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে রেললাইনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করে। এই অবরোধের ফলে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।
অবরোধ চলাকালে ঘটনাস্থলে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদ জানায়। তাদের দাবি ছিল, “স্থায়ী ক্যাম্পাস না হলে, ক্লাস হবে না।” এ ধরনের স্লোগান দিয়ে তারা আন্দোলনকে আরো জোরদার করে তোলে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী, মনি, জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই স্থায়ী ক্যাম্পাসের আশায় অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না দেখে আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছি।’ আরেক শিক্ষার্থী, আরিফ, বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করার জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাস অপরিহার্য।’
অবরোধের পরপরই স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক, এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের অভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভাড়া ভবনে পরিচালিত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসের অভাবে শিক্ষার মান ও পরিবেশে প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এই ধরনের আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মধ্যে একতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে। সামাজিকভাবে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চেতনা জাগ্রত করে, যেখানে তারা তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য একত্রিত হতে শিখে।
এই আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে যদি স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে, দীর্ঘসূত্রিতার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করতে পারে, যা শিক্ষাব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সর্বোপরি, এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং এটি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।