সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর প্রহসনমূলক তদন্তের প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের মৌন অবস্থান
মনিরুল ইসলাম,পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) চারটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে। হলের নামকরণে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোকে স্মরণ করা হয়েছে।গত শনিবার (২৬ জুলাই) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ তম রিজেন্ট বোর্ডে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রী হল-১ এর নাম হয়েছে “মাতৃভাষা হল”, যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ। ভাষার অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতেই এই নামকরণ।
ছাত্রী হল-২ এর নামকরণ করা হয়েছে “গণতন্ত্র হল”। যা আমাদের ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান কে মনে করিয়ে দেয়। যা ছিল স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে এই নামকরণ করা হয়েছে।
ছাত্র হল-১ এর নামকরণ করা হয়েছে “স্বাধীনতা হল”, যা জাতির ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধারণ করে। এটি সেই লড়াইয়ের প্রতীক, যেখানে রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের নাম।
এছাড়া ছাত্র হল-২ পেয়েছে “৬ জুন হল” নাম, যা ২০২৪ সালের ৬ জুন তারিখে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের উদ্যোগে সংঘটিত পাবনায় গণঅভ্যুত্থানের সূচনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পাবনা জেলায় আন্দোলনে শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হলগুলোর নাম নিয়ে অনেক পর্যালোচনা করা হয়। এদেশের ইতিহাসের সাথে মিল রেখে চারটি হলের নতুন করে নাম রাখা হয়েছে। উনিশশো সাতচল্লিশে দেশ ভাগের পর বাঙালির আত্মস্বীকৃতির আন্দোলন শুরু হয় ভাষা আন্দোলন থেকে। এরপর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক বিজয় পাই। এরপর আবার স্বৈরাচার আমাদের চেপে ধরে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারকে পরাজিত করি। এই চারটি আন্দোলন আমাদের ইতিহাস। চারটি হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে সেই ইতিহাসকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে দিয়েছি।’