

মো: সবুজ হোসেন রাজা,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে ২০২৫ সালের ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’-এর সকল কর্মসূচি বয়কট করে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে বারবার বিলম্ব ও সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব নজরুল ইসলাম বলেন, আজ আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এটি একটি আনন্দঘন দিন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা আজ রাজপথে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছি। ডিপিপি অনুমোদনে সরকারের উদাসীনতা আমাদের আজ এই অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। যতদিন পর্যন্ত ডিপিপি অনুমোদন না হবে, ততদিন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করব না। আমরা দীর্ঘ নয় বছর ধরে ধুঁকছি—আর নয়।
সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব ইয়াতসিংহ শুভ বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি এখন পর্যন্ত সাতবার সংশোধন করা হয়েছে। এতবার সংশোধনের পরও অনুমোদন না হওয়ায় আমরা গভীর শঙ্কায় রয়েছি। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের জন্য নয়, গোটা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্যই উদ্বেগজনক।
সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব শেখ আল মাসুদ বলেন, নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণে বারবার দেরি হতাশাজনক। এমন একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন পরিকল্পনার অনুমোদনের দাবিতে রাজপথে দাঁড়াতে হচ্ছে—এটি অত্যন্ত লজ্জার।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বলেন, এই সরকার আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আমরা দীর্ঘ নয় বছর ধরে একটি ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি—এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, বরং দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য লজ্জাকর।
সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় সরকার বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়ন না হলে আমরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিপিপি অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানান, অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।