লামায় মোবাইল কোর্টে ৮ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা: ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, পরে প্রত্যাহার।
উচহ্লা মারমা,বান্দরবান:আজ ২৫ শে জানুয়ারি বান্দরবানের লামা বাজারে অভিযান চালিয়েছে লামা উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৮ জনকে ৭২ হাজার ২শত টাকা জরিমানা করা হয়। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহফুজা জেরিন জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ১৪ ধারা পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করা, ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা ও মাস্ক পরিধান না করায় ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা যায়, পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করায় লামা বাজারের জনতা রাইস মিলের মালিক শফিকুল ইসলামকে ৪০ হাজার, মুদি দোকানদার আব্দুল মান্নানকে ৫ হাজার, মেসার্স চাষী এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুল ইসলামকে ১০ হাজার, মেসার্স সেলিম স্টোরের মালিক ওসমান গণিকে ১০ হাজার, মুদি দোকানদার মোঃ ইব্রাহিমকে ২ হাজার, মুদি দোকানদার শাহরিয়ার আলমকে ৩ হাজার, বিছমিল্লাহ ভাতঘরের মালিক মোঃ কামাল উদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার আইনে ২ হাজার ও মাস্ক পরিধান না করায় মোঃ আবুল খায়েরকে ২ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল কোর্টে নামে অতিরিক্ত জরিমানা করায় লামা বাজারের সকল ব্যবসায়ী এক হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন এবং বেলা ১টায় লামা বাজারের সকল দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা রাজপথে আন্দোলনে নামে। দোকানপাট অনিদিষ্টকালে জন্য ধর্মঘটের বিষয়টি অবগত হয়ে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ ও লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মোঃ আলমগীরসহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেন। ঘন্টা ব্যাপী দোকানপাট বন্ধ থাকার পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এর মধ্যস্থতায় ভবিষ্যতে ভ্রাম্যমান আদালতে মোবাইল কোর্টের নামে অতিমাত্রায় জরিমানা না করার আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে।