

কবির হোসেন রাকিব,রামগতি(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই বাড়ীর দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৮জন আহত হয়েছে।গতকাল সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজগ্রাম ৬নং ওয়ার্ডের মিজি কলোনী সংলগ্ন মিজি বাড়ীতে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন রামগতি থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ওহাব আলীর ছেলে রাকিব তাদের বাগানে সুপারির চারা রোপনের সময় একই বাড়ীর তার চাচাতো ভাই মিজান ও তার সহোদর ভাই মাকসুদ, সেলিম, লাইজু, মিজানের স্ত্রী লাইজু ও কাদির মিজির ছেলে জামাল সহ ৭/৮ জন এগিয়ে এসে জায়গাটি তাদের দাবী করে গাছ রোপনে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এ সময় তারা রাকিবকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করলে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। রাকিবকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে তার পিতা ওহাব মিয়া, বোন লাকি, বোন জামাই মিলন, ছোট ভাই শাহে আলম। মিজান, সেলিম ও জামালরা তাদের উপরও হামলে পড়ে তাদেরও বেধড়ক মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮জন গুরুতর আহত হয়। রাকিবদের লোকজন বেশী জখম হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখানেও অবস্থঅর অবনতি হওয়ায় বর্তমানে তারা ঢাকাতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভূক্তভোগী ইয়াসমিন বেগম জানায়, জামাল, মিজান ও সেলিমের নেতৃত্বে আমাদের জায়গা জমি জোরপূর্বক ভোগ দখলের জন্য এরা আমাদের উপর প্রায়ই এধরনের পৈচাশিক হামলা চালায়। বর্তমানে আমার বাবা ভাই সহ ৬ জনকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে মাথা ফাটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার বাবা মা তাদের অত্যাচারে বাড়ীতে বসবাস করতে পারেনা। তারা আমাদের বাড়ীঘর ভাংচুর করে ব্যাপক তান্ডব চালায়। ঘরের তালা ভেঙ্গে রক্ষিত চাল ও সুপারি সহ অন্যান্য মালামাল লুটে নিয়ে যায়। তাদের নির্যাতনের ভয়ে আমার বাবা মা বাড়ি ঘরে যেতে পারছেনা।
অভিযুক্ত সেলিম বলেন, আমরা আমাদের জায়গায় চারা রোপনে বাঁধা দিয়েছি তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, সায়েদের ছেলে মিজান, কাদের মিজির ছেলে জামাল সহ এরা কোন আইন কানুন মানেনা।
রামগতি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কবির হোসেন বলেন, একই বাড়ির দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাটি শুনার পর সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দুপক্ষই অভিযোগ দাখিল করেছে।