রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চান বোয়ালখালীবাসি
মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ, (বোয়ালখালী প্রতিনিধি): করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় মাসখানেক ধরে লকডাইন চলছে দেশজুড়ে। এতে করে একপ্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। তার সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং । একদিকে লকডাউন আরেকদিকে লোডশেডিং এই দুইয়ের মাঝখানে পড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বোয়ালখালীবাসির জনজীবন। বছরের পর বছর ধরে শুনে আসছি পল্লি বিদ্যুৎ এর লাইন সংস্কারের কথা। কিন্তু বাস্তবতার সাথে কথাটার মিল কতটুকু তা বুঝতে পারছিনা। সামান্য বাতাস, বৃষ্টি আর বজ্রপাত শুরু হতে না হতেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বোয়ালখালী জোনাল অফিসের নাম্বারটিতে একাদিকবার ফোন করলেও সহজে রিসিভ করেননা কতৃপক্ষ। দীর্ঘক্ষণ ফোন করার পর রিসিভ করলে বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে চাইলে অফিসের কর্মকর্তাগণ মেইন লাইনের সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। জানতে চাই এক গ্রাহক বলেন, সারাবছরই শুনি তারা লাইনের সংস্কার করে কিন্তু সামান্য বাতাস, বৃষ্টিতেই যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে সারাটিজীবন ধরে মেরামত কাজের সুফল কি? দেশে এখন মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলতেছে এই সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং কাম্য নয়। তাছাড়া আগামিকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান, এই সিয়াম সাধনার মাসে যদি এমন দূরবস্থা হয় তাহলে সিমাহীন কষ্টের সম্মুখিন হবে জনসাধারণ। তাই যত দ্রুত সম্বব সমস্যা সমাধান করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য কতৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসি। গতকাল (২৩ এপ্রিল) রাতে বোয়ালখালী পল্লি বিদ্যুৎ এর এজিএম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারের উপর গাছ পড়ার কারণে লাইনের সমস্যা হচ্ছে বার বার। লকডাউনের কারণে গাছ কাটা সম্ভব হয়নি তবে আগামিকাল থেকে আর সমস্যা হবেনা বলেও আশ্বাস দেন। বোয়ালখালী পল্লি বিদ্যুৎ এর ডিজিএম রফিকুল আজাদ এর মুঠোফোনে অনেকবার ফোন করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল আলম বলেন, আমি যতটুকু জানি বোয়ালখালীতে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। তবুও লোডশেডিং এর কারণ কি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ যে এই রির্পোট লেখাখালীন সময়েও বিদ্যুৎ ছিলোনা। পবিত্র মাহে রমজানে বিশেষ করে সেহেরী, ইফতার ও নামাজের সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান করে জনসাধারণকে স্বস্থি দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা বোয়ালখালীবাসির।