মিয়ানমারে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, আরো ৩৮ জনের মৃত্যু
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মারা গেছেন ইয়াঙ্গুনে। এ নিয়ে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত প্রাণ গেলো অন্তত ১২৬ জনের। ইয়াঙ্গুনে ১০টি চীনা কারখানায় অগ্নিসংযোগের পর দুটি এলাকায় সামরিক আইন জারি করে সেনাবাহিনী।
অং সান সুচিকে গ্রেপ্তার ও অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভ গড়াল ছয় সপ্তাহে। এরমধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন ছিল রোববার।
চীন জানায়, ইয়াঙ্গুনে চীনের ১০টি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়াসহ তাদের নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। চীনের দূতাবাস থেকে তাদের সম্পত্তি ও নাগরিকদের সুরক্ষারও আহ্বান জানায় বেইজিং। এরপরই মার্শাল ল জারি করে জান্তা সরকার।
দিনভর রাস্তায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়, দেখা যায় সেনাবাহিনীর ট্রাকও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিক্ষোভে তারা ভারী অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।
ইয়াঙ্গুনের হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় গণতন্ত্রকামীদের। এসময় পুলিশ গুলি চালালে, লাঠি ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায় তারা। আরও দুই এলাকা থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
এর আগে, শনিবার গণতন্ত্র ফেরানোর বিপ্লব অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আত্মগোপনে থাকা গণতান্ত্রিক সরকারের ভারপাপ্ত উপ-রাষ্ট্রপতি।
গণতান্ত্রিক সরকারের ভারপাপ্ত উপ-রাষ্ট্রপতি মাহ উইন খাইং থান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ওপর যতোই রাজনৈতিক কূটকৌশল খাটানো হবে, আমরা ততো বেশি সংঘবদ্ধ হবো। গণতন্ত্র ও সমতা রক্ষায় আন্দোলন আরো বেগবান হবে। নির্যাতন চালিয়ে আমাদের দমানো যাবে না। আমাদের লক্ষ্য অর্জন হবেই।
পর্যবেক্ষক সংস্থা এএপিপি বলছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার ২ হাজার ১শ জনের বেশি।