মির্জাপুরে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ৩১ বছর পর ক্লাস শুরু
মাসুদ পারভেজ, স্টাফ রিপোর্টার টাঙ্গাইল : মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে ১৯৯১ সালে ১২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল “অভিরামপুর নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা”।মাদ্রাসার জমি দান করেছিল উক্ত এলাকার মৃত মো: বাবর আালী সিকদার।মাদ্রাসাটি ৩১ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হলেও কিছুদিন চালু থাকার পর তা আর্থিক সংকটের কারণে চালু রাখা সম্ভব হয়নি।দীর্ঘ ৩১ বছর পর এলাকাবাসীর উদ্যোগ,সেচ্ছাশ্রম ও চাঁদা তুলে মাদ্রাসাটি চালু করা হয়েছে ১ ই জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে।
মাদ্রাসাটিতে নার্সারি থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ইং থেকে, ক্লাস শুরু হয় ০১ ই জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ থেকে।মাদ্রাসায় ৪ টি ক্লাসে মোট ৭৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে এবং ৩ জন শিক্ষক আছে।মাদ্রাসায় ৩ টি বিভাগে ভর্তি চলছে,১. নুরানী বিভাগ ২. নাজেরা বিভাগ ৩. হিফজ্ বিভাগ।মাদ্রাসায় ৫ কক্ষের প্রয়োজন হলেও আছে ৩ টি কক্ষ ও শিক্ষকের প্রয়োজন ৫ জন হলেও বর্তমানে আছে ৩ জন।মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট জানা যায়,এলাকাবাসীদের নিকট থেকে চাঁদা তুলে মাদ্রাসা আবার মেরামত করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের বেতনও দেয়া হবে চাঁদা তুলেই।মাদ্রাসাটিতে আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন জানালেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, মাদ্রাসা টি চালু করে আমাদের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। কারণ,আমাদের সন্তানরা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
মোস্তফা,হাসু,সামাদ,রিয়াজ,শফিক নামের স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান, সকলের পরিশ্রমের ফলে আমরা মাদ্রাসাটি চালু করতে পেরেছি।মাদ্রাসাটি চালু রাখার জন্য আমরা সকলের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
স্থানীয় নবনির্বাচিত মেম্বার মান্নান খান আকাশ বলেন,মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম শুরু করার জন্য এলাকাবাসীর ভুমিকা অপরিসীম।আমরা যেন সকলের সহযোগিতা নিয়ে ভালভাবে কাজ করে যেতে পারি, সেজন্যে সকলের সহযোগিতা চাই। তিনি আরো বলেন,মাদ্রাসাটি চালু করতে আমাদের আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে এবং প্রতি মাসে আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে।আজকে পর্যন্ত আমরা সকলের নিকট থেকে চাঁদা তুলে মাদ্রাসার মেরামত কাজ করেছি।মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন,এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে মাদ্রাসার উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।