মহাকাশে গেলো যাত্রীবাহী প্রথম ফ্লাইট
প্রথমবারের মতো মহাকাশে গেলো যাত্রীবাহী ফ্লাইট। স্পেইসএক্সের এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ইন্সপিরেশন ফোর। ৪ বেসামরিক নাগরিক বর্তমানে কক্ষপথে অবস্থা করছেন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেইস সেন্টার থেকে শুরু হয় এর যাত্রা।প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করলো স্পেইসএক্স। চার বেসামরিক নাগরিক বর্তমানে কক্ষপথে অবস্থা করছেন। এতে নেই কোনো পেশাদার নভোচারী। এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ইনস্পিরেশন ফোর। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেইস সেন্টার থেকে শুরু হয়েছে এর যাত্রা।
এ বছরের জুলাইয়ে প্রথম মহাকাশ ভ্রমণে যান মার্কিন ধনকুবের, ভার্জিন গ্যালাক্টিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্রানসন। এর দুই সপ্তাহের মাথায় নিজস্ব রকেট ব্লু অরিজিনে চেপে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আমাজনের জেফ বেজোসের মহাকাশ-যাত্রা। এ সময় তাদের কারও সঙ্গেই ছিল না পেশাদার নভোচারী।
তবে এসব কিছুইকে পেছনে ফেলেছে ইলন মাস্কের স্পেইসএক্স। এই প্রথম পেশাদার নভোচারী ছাড়া, শুধু ৪ জন বেসামরিক পর্যটক নিয়ে বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে আছে ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান।
ইনস্পিরেশন ফোর এর প্রকল্প প্রধান জ্যারেড আইজ্যাকম্যান বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য মহাকাশ সম্পর্কে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা। পৃথিবীর বাইরে আমরা আরো কি কি করতে পারি সে বিষয়ে নতুন করে ভাবতে সেখাবে এই অভিযান।
ইন্সপিরেশন ফোর নামের এই অভিযানের পেছনে রয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী মার্কিন ধনকুবের জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। এর শুরু হয়েছিল দাতব্য উদ্যোগ হিসেবে।
ইনস্পিরেশন ফোর প্রকল্পের প্রধান বলেন, আমি সেন্ট জুড চিলড্রেন’স রিসার্চ হসপিটালের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে এই প্রকল্প হাতে নেই। হাসপাতালের একজন সাবেক রোগীও এই অভিযানে আমাদের সাথে যাবেন।
সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানটি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে যাত্রীদের নিয়ে। তিন দিন পর ফ্লোরিডার উপকূলের কাছে আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করবে ইনস্পিরেশন ফোর। এই তিন দিনে নাসার মাধ্যমে তারা সংযুক্ত থাকবে পৃথিবীর সাথে। পেশাদার নভোচারী ছাড়া মহাকাশে সাধারণ মানুষের এই ভ্রমনের ফলে শুরু হলো এক নতুন যুগের।