ভোলায় থানা হেফাজতে আত্মহত্যা করল ধর্ষণ মামলার আসামি
ভোলার পল্লিতে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. হাসান (২৩) থানা হেফাজতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টায় ভোলা সদর মডেল থানার বাথরুমে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত হাসান ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় পুরো শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ জানান, ঈদের দিন দুপুর ১টার দিকে ওই গৃহবধূ, যিনি দুই সন্তানের জননী, হাসানের বাড়িতে ফ্রি মাংস দিতে গেলে হাসান তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী হাসানকে ধরে গণধোলাই দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসানকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে থানা হেফাজতে আনা হয়। পরে রাত ১২টার পর সে আত্মহত্যা করে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।এদিকে, থানা হেফাজতে আসামির আত্মহত্যার ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।