বিশ্বসেরা সুন্দরী ঠাকুমা ভারতের আরতি চাটলানি

বিনোদন : ঠাকুমাদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। শুনতে একটু অবাকই লাগে। কিন্তু কথায় বলে, বয়স একটা সংখ্যামাত্র। সেই কথাকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ভারতের বেঙ্গালুরু রাজ্যের আরতি বি চাটলানি। খাতা-কলমে তার বয়স ৬২ বছর। তাতে কী? নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল ষোলোআনা। সেই তাগিদের জোরেই প্রথম ভারতীয় হিসেবে জিতে নিলেন ‘গ্র্যান্ডমা ইউনিভার্স সম্মান’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ঠাকুমাদের টেক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
বুলগেরিয়ার সোফিয়াতে অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বিউটি কনটেস্ট। সৌন্দর্যের যে নির্দিষ্ট কোনো বয়স হয় না, সে বার্তা দিতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে চ্যাম্পিয়ন আরতি জানান, প্রতিযোগিতায় তিনটি রাউন্ড ছিল। প্রথম রাউন্ডে তিনি পরেছিলাম ব্রাইডাল জুয়েলারি এবং লেহেঙ্গা। দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিল নাচ। সেখানেও কেল্লাফতে। হিন্দি গানের সঙ্গে জমিয়ে নেচে অবাক করেছেন সবাইকে।
আরতি আরও জানান, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি স্বামীকে পাশে পেয়েছেন। তার কথায়, ‘লম্বা আর ফিট ঠাকুমাদের দেখে ব্যাগ প্যাক করে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্বামীকে পাশে পেয়েছি। যখনই ভয় পেয়েছি ও সাহস যুগিয়েছে।’ তবে শুধু স্বামীই নয়, সন্তান এবং নাতি-নাতনিরাও ক্রমাগত উৎসাহ দিয়েছেন তাকে।
বুলগেরিয়ায় এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে হয় গত ২৩ জানুয়ারি। যখন গ্র্যান্ড ফিনালে হচ্ছিল বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর সাড়ে চারটে। ঘুম ছিল না আরতির পরিবারের চোখে। তার বোন ছাড়া আর কেউ যেতে পারেননি বুলগেরিয়ায়। তাতে কি? আধুনিক প্রযুক্তির যুগে দুরূত্ব কোনো ব্যাপারই না। মোবাইলে ভিডিও কল দিয়ে গোটা অনুষ্ঠান পরিবারের সবাইকে দেখান আরতির বোন।
তারপর তো ইতিহাস। বেঙ্গালুরুর ঠাকুমা এখন নেটপাড়ার নয়া সেনসেশন। আসছে হাজারও শুভেচ্ছা। আরতির মতে, স্বপ্ন দেখতে জানতে হয়। শাহরুখ খান একটা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আগার কিসি চিজ কো দিল সে চাহো তো পুরি কায়ানাত উসে তুমসে মিলানে কি কৌশিস মে লাগ জাতি হ্যায়’। আরতি স্বপ্ন দেখেছিলেন, ফলও পেলেন হাতে হাতে।