বাঁশখালীতে খুন করে বরিশালে আত্মগোপন, ৫ মাস পর গ্রেফতার ৪
বাঁশখালী থানার বাহারছড়া পূর্ব চাপাছড়ি দুই পা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল বশর তালুকদার খুনের সাড়ে ৫ মাস পর হত্যা মামলার মূল আসামি আবদুল কাদেরসহ চারজনকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল নগর ও বাবুগঞ্জ থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৯ মার্চ গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে চাপাছড়ি গ্রামে আবুল বাশারের পথরোধ করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর পায়ের দ্বিখণ্ডিত অংশ নিয়ে তারা উল্লাস করে গ্রামে। এ ঘটনায় বাহারছড়া ইউনিয়নের চাপাছড়ি ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য নাছির উদ্দিনসহ ১২ জনকে আসামি করে নিহত আবুল বাশারের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস আগে মামলা তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম জেলা) নাজমুল হাসান জানান, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বর্তমান ইউপি সদস্য নাসিরের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে আবুল বশর তালুকদারকে খুন করা হয়। ঘটনার পর বাঁশখালী থানা পুলিশ ইউপি সদস্য নাসিরকে গ্রেফতার করে। খুনের পর গ্রেফতার এড়াতে চার আসামি বরিশালে বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (চট্টগ্রাম জেলা) কাজী এনায়েত কবীর জানান,বরিশাল মহানগরের কাওনিয়া থানার আল মামুন জামে মসজিদ এলাকার মোল্লা বাড়ির রিপনের ভাড়াঘর থেকে আবদুল কাদের ও হাছিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে একই নগরের কোতোয়ালী থানার কাছারি পুকুর এলাকা থেকে মো. রিদুয়ানকে ও একই জেলার বাবুগঞ্জ থানার রাজকর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার চারজনকে রোববার বিকেলে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করলে, আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।