ফেসবুকে ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি’র অভিযোগে আব্দুল কাইয়ূম ফতেয়াপুরী খাগড়াছড়ি হতে গ্রেপ্তারঃ-
(জামসেদ আলম সন্দ্বীপ প্রতিনিধি) ফেসবুকে ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি’র অভিযোগে চট্টগ্রাম সন্দ্বীপের একটি বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচর মসজিদে কর্মরত এক ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খাগড়াছড়ি থেকে। আবদুল কাইয়ুম ফতেপুরী নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের লতিফপাড়া এলাকায়।ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির খবর পেয়ে সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই এবং সাথে এ.এস আই ধনতোষ ত্রিফুরার নেতৃত্বে পুলিশও বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি । কৌশলে তিনি রাতের আধাঁরে নোয়াখালী চলে যায়।নোয়াখালী চলে যাওয়ার বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, উনি উড়িরচর থেকে গোপনে নোয়াখালী চলে যাওয়ার পিছনে তার অনুসারিরা জড়িত।এই বিষয়ে তারা তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোপ প্রকাশ করেছিলেন।অবশেষে রোববার বিকাল ২টার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার ওসি মাসুদ আলম বলেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মার নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল খাগড়াছড়ি সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।নোয়াখালী থেকে কুমিল্লা হয়ে খাগড়াছড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেখানে ইলেকট্রিশিয়ানের দোকানে কাজ নেন।ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘মানহানিকর পোস্ট’ দেওয়ায় আবদুল কাইয়ুম ফতেপুরী নামের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ১৪ জুন রাতে হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের পাঁচজন নেতা আলাদা আলাদা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, আব্দুল কাইয়ুম ফেসবুকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহকে নিয়ে উপহাস করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুকামনা করেছেন।ফেসবুকে আবদুল কাইয়ুম ফতেপুরী নামের ঐ ইমাম লিখেছিলেন, ‘আবুল তাবোল উইকেট পড়তেছে, আমরা সরাসরি জননীর আশায় আছি।’এই পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে হাটহাজারী থানায় আলাদা আলাদা অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোনায়েম আহমেদ সুহান, উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জয়, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কে আই জিহান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান হায়াত।পরে হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রাসেলও একটি মানহানির মামলা করেন। ১৯ জুন ছাত্রলীগ সভাপতির অভিযোগটি আমলে নিয়ে সেটিই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।