

মোঃ হৃদয়, জবি প্রতিনিধি : বর্বর ইসরাইল কর্তৃক গাজায় নির্বিচারে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর যে নির্মম বর্বরতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর বিরুদ্ধে সবার অবস্থান নেওয়া জরুরি। বক্তারা আরো বলেন, যারা এই গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। তারা ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানান।
জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কেএম রাকিব বলেন, *”গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আমার ভাই মারা যাচ্ছে। জানতে ইচ্ছে করে—ইসলামী রাষ্ট্রগুলো কোথায়? ওআইসি কোথায়? মনে হয় আজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, বরং ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধেই মানববন্ধন করা উচিত।
জবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বায়তুল আকসা আমাদের প্রথম কিবলা। মুসলিম কমিউনিটিকে এই কিবলা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি আমরা প্রত্যেক মুসলিম দেশকে সব সেক্টরে অন্য দেশের উপর নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার আহ্বান জানাই।
জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নওয়ার জয়া বলেন, “যারা বিশ্ব মানবতার কথা বলে, আজ তারা নীরব। গণহত্যার সহায়কদের পণ্য বর্জন করে আমাদের প্রতিবাদ জানাতে হবে।”
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধের মদদদাতাদের জন্য আল্লাহর হেদায়েত কামনা করি। আমাদের শপথ নিতে হবে—ইসরায়েল ও ইসলামের শত্রুদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবো। ইসরায়েলের কোনো পণ্য আমরা আর কিনবো না—এই সংকল্প নিতে হবে।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।