ফটিকছড়িতে অবৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে জামাআত শিবিরের কর্মকান্ড
নোমান বিন খুরশীদ (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে জামাআত শিবিরের কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার ১০নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের অবৈধ ও প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে জামাআতের অর্থায়নে “আত-তাক্বওয়া মহিলা মাদরাসা”র নাম দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করার অপেক্ষায় আছে। যার উদ্যোক্তা জামাআত শিবিরের সাবেক ক্যাডার মোঃ শওকত হোসেন আর তত্ত্বাবধানে রয়েছে হরিণাদীঘি দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও জামাআতের ”রোকন” নামে খ্যাত মোঃ শামসুদ্দীন। খবর পাওয়া যায়, গত শুক্রবার উদ্বোধনের কথা থাকলেও, প্রশাসনিক তোপের মুখে উদ্বোধন করতে পারেনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর মতে, জামাআত শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীরা এসে প্রতিনিয়ত এখানে এসে বৈঠক করে ও মহড়া দেয়। এদের মহড়ার কারণে এলাকাবাসীরা আতংকে ভোগছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। ফটিকছড়ির বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জামাআত শিবিরের নেতাকর্মীরা সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার গোপন বৈঠক করে বলে দাবী করে এলাকাবাসীরা। মাদরাসার তত্ত্বাবধানকারী শামসুদ্দীন বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, “মাদরাসাটি এখনো চালু হয়নি, তবে চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।” ১০নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তিনি খেয়াল করেছেন এবং তাঁদের কর্মকান্ডে তিনি লক্ষ্য রেখেছেন। তিনি আরো জানান, “ইউপি, উপজেলা, ইউএনও’র অনুমতি ব্যতিরেকে তাঁরা এই কাজ করছে। আমরা বিষয়টি সার্বিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বিক কোনো তথ্য উপাত্ত আমাদের হাতে পৌঁছালে আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো।” উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমরা সার্বিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি। জামাআত শিবিরের কর্মকান্ডের সাথে কোনো সংশ্লিষ্ট থাকার তথ্য পেলে বা কর্মকান্ড দৃশ্যমান হলে আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ এটি শক্ত হাতে প্রতিহত করবো।” উল্লেখ্য, ফ্রি শিক্ষা ও এতিমখানার নামে এলাকাবাসী থেকে জায়গা অনুদান নিলেও তাঁরা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে বলে জানান এলাকাবাসী।