পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নগরের বন্দর থানাধীন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর এলাকায় মো. আজিজুল হক সাকিব (১৯) নামের এক যুবকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নগরের বন্দর থানাধীন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর এলাকায় মো. আজিজুল হক সাকিব (১৯) নামের এক যুবকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ফাঁকা গুলি চালিয়ে বাড়ির দরজা-জানালা সহ সেখানকার বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে আলী মাঝির পাড়ার গোল মোহাম্মদ সওদাগরের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি চালিয়ে লোহার রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে ৮-১০ জনের একটি দল এ হামলা চালিয়েছে— এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এদিকে আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর সিএমপির বন্দর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মো. আজিজুল হক সাকিব। অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রামের বন্দর থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আলী মাঝির পাড়ার গোল মোহাম্মদ সওদাগর বাড়ির সালামত আলীর দুই পুত্র মো. সরওয়ার আলম বাপ্পি (৩০) ও মো. শোভন (২৩), একই এলাকার সাহাবুদ্দিনের পুত্র মো. রোমান (২৩) এবং আব্দুল মান্নানের পুত্র মো. নয়ন (২২)। ভূক্তভোগীর পরিবার ও আজিজুল হক সাকিব জানান, সাম্প্রতিক চসিক নির্বাচনের ইস্যু ধরে গতকাল গভীর রাতে বর্তমান কাউন্সিলরের প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ কিরিচ ও লাঠিসোঠা নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে। ওই সময় ফাঁকা গুলি চালিয়ে আমার ঘরে দরজা ও জানালা ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে গভীর রাতে আত্মচিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। ঘটনার পর বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার পাশপাশি চট্টগ্রাম র্যাব-৭ দফতরেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি— যোগ করলেন আজিজুল হক সাবিক। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির বন্দর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দীপক বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার নাইট ডিউটি ছিল। সকালে অভিযোগ পাওয়ার পর আমি সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে গিয়ে বাড়ির জানালা ও দরজা ভাঙচুরের আলামত পেয়েছি। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বা জড়িত তা তদন্তের পর জানা যাবে।