

সোহেল খান দূর্জয়,নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার বারহাট্টায় অবৈধভাবে সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কাটার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গ্রামবাসীর পক্ষে আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লিটন চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন সরকারি রাস্তার পাশ থেকে ২টি রেইন্টি গাছ কেটে নিয়ে যায় একেই এলাকার সিরাজ আলী তালুকদারের ছেলে মোঃ লিয়ন তালুকদার। যা সরকারি আইন অমান্য সহ পরিবেশ ক্ষতির মত জগন্যতম অপরাধ।
গ্রামবাসীর পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) বরাবর গত ১২ই ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন আলোকদিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মোঃ লিটন চৌধুরী।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বারহাট্টা উপজেলা টু মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এটি একটি জনবহুল রাস্তা। উক্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বেশ কিছু গাছ আছে। যা থেকে বিগত একাধিকবার বন্যার কবল থেকে রাস্তাটি রক্ষা পেয়েছিল এই গাছগুলোর জন্য। সদ্য গাবতলি মোড় থেকে চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার পাশের জায়গা হতে ২টি সরকারি গাছ কেটেছে এই এলাকার প্রভাবশালী মোঃ লিয়ন তালুকদার। তন্মধ্যে আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ আলী তালুকদারের ছেলে মোঃ লিয়ন তালুকদারের নাম অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন,উপরোক্ত ব্যাক্তি ব্যাক্তিগত লাভবান হওয়ার জন্য সরকারি রাস্তার পাশে রোপন করা ২টি রেইন্টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। গাছগুলো কাটার সময় গ্রামবাসী মিলে বাঁধা প্রদান করিলে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও মারপিট করার জন্য তেড়ে আসে, এবং এমতাবস্থায় যে কোন সময় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বলেও গ্রামবাসীর পক্ষে উল্লেখ করেন উক্ত গ্রামের অভিযোগকারী মো. লিটন চৌধুরী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ লিয়ন তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিটন চৌধুরী ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে আমার নামে তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছে, আর আমি আমার জায়গা থেকেই গাছ কেটেছি।
এ বিষয়ে সিংধা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাছ কাটার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে শুনেছি তারা গাছ কেটেছে। আপনারা এসে সরেজমিনে দেখে গেছেন ভালো হয়েছে।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আমি এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নেত্রকোনা বন বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখনো এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আলোকদিয়ায় আমাদের বন বিভাগের কোন বাগান নেই। তারপরও আগামীকাল সকালে আমি সরেজমিনে লোক পাঠাবো। রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটা হলে আইনি ব্যাবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী বলেন, সরকারি গাছ কাটার একটি অভিযোগ পেয়েছি, আমি নিজে সার্বিয়ার নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি দেখছি কি করা যায়,গাছ কাটার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।