

সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা : নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় সংঘর্ষে পর ধনু নদে নিখোঁজ হওয়ার পর ১০ দিন পার হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি যুবক ইয়াসিনের। তাকে জীবিত অথবা মৃত ফেরত পেতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে নেত্রকোণার মদন উপজেলার নেত্রকোণা-মদন সড়কের বটতলা বাজারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নিখোঁজ ইয়াসিন মিয়ার মা সুলতানা আক্তার, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আলী উসমান, আলী আকবর, মানিক মিয়া, রতন জিহাদী, আব্দুল সালাম,পুতুল মিয়া প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ‘ইয়াসিন কাইটাইল ইউনিয়নের ছাত্রদলের কর্মী। সে অটোরিকশা চালিয়ে পরিবার চালাতেন। গত শনিবার (৮ মার্চ) খালিয়াজুরী রসূলপুর ঘাটে যাত্রী নিয়ে গিয়েছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন ও মাছ শিকারিদের সংঘর্ষ হলে নিখোঁজ হন ইয়াসিন। নিখোঁজের ১০ দিন পার হলেও ইয়াসিনে সন্ধান না পাওয়া যাচ্ছে না তার পরিবার।বক্তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘ইয়াসিনকে খোঁজতে পুলিশ অথবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না। কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও সহযোগিতা করছেন না। এমনকি একটি চক্র মানববন্ধন করতেও বাঁধা প্রদান করেন।
সম্প্রতি দুই সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মাছশিকারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালিয়াজুরীর বিভিন্ন জলমহালে পলো দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন। গত ৮ মার্চ সকালে পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে সহস্রাধিক মাছ শিকারি পলো নিয়ে খালিয়াজুরীর একটি জলমহালের মাছ শিকার করতে যান। মাছশিকারিরা ধনু নদের রসুলপুর ঘাটে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ রেখে নদী পার হতে ফেরি নৌকায় যেতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। এরই জেরে মাছ শিকারিদের সাথে রসুলপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষের সময় যানবাহন ভাঙচুরসহ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় চারজন নিখোঁজ থাকেন। সংঘর্ষের তিন দিন পর ধনু নদ থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনার মর্গে পাঠায় লিপসার পুলিশ ফাঁড়ির নৌ পুলিশ। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ইয়াসিনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।