নগরীর রাস্তায় গণপরিবহনের হিড়িক; মানা হচ্ছে না সরকারী প্রজ্ঞাপন
গণপরিবহনে ব্যস্ত চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তা। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে চলছে শতভাগ গণপরিবহন। যাত্রীদের সুরক্ষায় এবং করোনা আতঙ্ক প্রতিহত করতে গণপরিবহনগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে না স্যানিটাইজার। আতঙ্কিত যাত্রীরা গণপরিবহনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এমনও দেখা গেছে পরিবহনের ভেতরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এছাড়া আসন সংখার বাইরেও নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ যাত্রী শতভাগ গণপরিবহনে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ব্যস্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন সড়ক।
গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে ১২ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নির্দেশনায় উল্লেখিত ছিল, আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী নেওয়া যাবে না। এমনকি দাঁড়িয়েও কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না। গণপরিবহনে প্রবেশ করার পূর্বে যাত্রীদের সাথে থাকা মালামাল ও হ্যান্ড-ব্যাগে সেনিটাইজার ছিটিয়ে দেবার কথাও সেখানে বলা ছিল। বলা হয়েছিল মালিকপক্ষ থেকেই নিশ্চিত করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সুরক্ষা সামগ্রী।
এছাড়া, গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, হেলপার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার বিষয়টিও বলা হয়েছিল সেই নির্দেশনায়।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বাস্তবে। অধিকাংশ গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা সমপরিমাণ আসনের থেকেও দ্বিগুণ। দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সকলেই সরাসরি উঠে পড়ছে গণপরিবহনগুলোতে।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, গণপরিবহনে বহুসংখ্যক যাত্রী দাঁড়িয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে। কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা মাস্কের ব্যবহার নেই বলাই চলা।
জিইসি মোড়ে আগ্রাবাদ থেকে আসা গণপরিবহন যাত্রী ওমর ফারুক বাংলাধারাকে জানান, ‘বাসে উঠলে স্যানিটাইজার ছিটানো হচ্ছে না। তার উপর যেতে হচ্ছে দাঁড়িয়ে। বাসে উঠলেই দেখছি যাত্রীতে ঠাসা।’
বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন এর সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এই অসচেতনতা এবং অবহেলার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে প্রশ্ন করলে, তিনি উত্তর না দিয়ে প্রতিনিধিকে পাশ কাটিয়ে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি আর কলটি রিসিভ করেননি।
চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ কিছুটা শিথিল থাকলেও গণপরিবহনে এমন অসচেতনতা এবং অবহেলা সংক্রমণের মাত্রাবাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন গণপরিহন যাত্রীরা।