দেশকে রক্ষা করবো, পালাবো না
রুশ সেনার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। তবে, কিয়েভের প্রশাসনিক ভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। মনে করা হচ্ছিল প্রাণ বাঁচাতে হয়তো তিনি কোন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন অথবা কপ্টারে চেপে অন্য কোন দেশে পালিয়ে গিয়েছেন। তবে এই জল্পনাকে দূর করলেন খোদ জেলেনস্কি। রাতে ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, ‘কোথাও যায়নি। এখানেই আছি। দেশকে রক্ষা করছি।’
জেলেনস্কি রাশিয়ার সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এমন গুজবের জবাব দিতে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কিয়েভের রাস্তায় সাদামাটা পোশাকে হাঁটছেন জেলেনস্কি।সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এখানে। আমাদের সামরিক বাহিনী এখানে। সমাজের নাগরিকরা এখানে। আমরা সবাই এখানে আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের দেশকে রক্ষা করছি এবং এটি এভাবেই থাকবে।
এর পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো জানিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এই দীর্ঘ সময় দুজনের মধ্যে সামরিক সাহায্য নিয়ে কথা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তবে এসবের পরেও প্রশ্ন উঠছে, জেলেনস্কি কি পারবেন ইউক্রেন রক্ষা করতে!
এদিন যখন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সদর্পে দেশের মানুষকে আশ্বস্ত এবং সাহস দেয়ার জন্য ভিডিও বার্তা দেন তখন তাকে লক্ষ্য করা যায়, অন্যান্য ছেলেদের মতো তিনি জলপাই রঙের পোশাক পরে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর তার সঙ্গে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী, চিফ অফ স্টাফ সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা।
সাম্প্রতিক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির এমন সদর্পে ঘোষণা করা ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সেখান থেকে সরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন সরকার। তবে জেলেনস্কি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তার দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলার পর জেলেনস্কি বলেন, ‘লড়াই এখানে; আমার গোলাবারুদ দরকার, রাইড নয়।’ তাদের কথোপকথনের সাথে জড়িত একজন সিনিয়র আমেরিকান গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি রিপোর্ট করেছে।