তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ হাজার ৭টি ইউপিতে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে।
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ হাজার ৭টি ইউপিতে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। একইসঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১০টি পৌরসভায়ও। শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে যেকোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।তৃতীয় ধাপের ভোটের লড়াইয়ে আছেন ৫০ হাজার ১৪৬ জন প্রার্থী।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।
এ দফায়, ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৫৬৯ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১০০ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১৩২ জন ও সাধারণ সদস্য ৩৩৭ জন।
তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৫ হাজার ২২২ জন। যাচাই–বাছাই ও আপিল শেষে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৩৫। এর মধ্যে ৬৭১ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির উন্নতির প্রেক্ষাপটে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপে এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে ভোট হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল অংশ নিলেও বিএনপি নিচ্ছে না।
ইতোমধ্যে পাঁচটি ধাপে ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে কমিশন। প্রথম দুই ধাপে প্রায় ১২শ’ ইউপিতে ভোট শেষ হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৪০ ইউপিতে ভোট হবে। পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ভোট হবে ৫ জানুয়ারি।আগামীতে ষষ্ঠ ধাপে নির্বাচন উপযোগী আরও তিন শতাধিক ইউপি’র তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন। ভোটের দিনেও সেই সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ জন এবং প্রথম ধাপে ৫ জন প্রাণ হারান।