চট্টগ্রামে ভিন্ন পরিবেশে যাত্রীদের ট্রেন যাত্রা
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার সময় ছিলো না কোনো জটলা। তিন মিটার দূরত্ব মেনে ঢুকতে হয়েছে স্টেশনে। মুখে মাস্ক, ট্রেনে ওঠার সময় প্রত্যেকের হাত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়েছে।
এ চিত্র রোববার (৩১ মে) সকাল ৭টার সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের। ট্রেনটি ঠিক সময়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রত্যেকটি বগি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে পুরো ট্রেনে। ওয়াশরুমে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু। ট্রেনের কর্মচারীরা সবাই হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক পড়েছেন। এ যেন অন্যরকম পরিবেশ। এমন ব্যবস্থাপনায় যাত্রীরাও সন্তুষ্ট।
সকাল ৭টায় ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে যাত্রীরা আসতে শুরু করেন। স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার আগ পর্যন্ত কাউকে জটলা করতে দেয়নি জিআরপি পুলিশ ও আরএনবির সদস্যরা। ট্রেনে দুজনের সিটে একজনকে বসানো হয়েছে।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রাকিব হাসান বলেন, রেলওয়ের এমন ব্যবস্থাপনায় আমি খুশি। তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি দুটি সিটে একজন বসেছেন, ট্রেনের ভেতর পরিবেশ ছিলো চমৎকার।
রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে ৪৫৪ সিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩৮৭টি। এই ৩৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঠিক সময়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একইভাবে বিকেল ৫টায় সোনার বাংলা ও রাত সাড়ে ১০টায় উদয়ন চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
ইতোমধ্যে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ২৯৭টি টিকিটের মধ্যে ১০৭টি টিকিট বিক্রি হয়েছে আর উদয়নে ৩১৬টি সিটের বিপরীতে বিক্রি হয়েছে ১৮০টি টিকিট।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সহকারী কমান্ড্যান্ট (ট্রেনিং সেন্টার) সত্যজিৎ দাশ বলেন, স্টেশনে ঢোকার সময় হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেক যাত্রীর জ্বর মাপা হয়েছে। মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্রেনের ভেতর যাতে কোনো অতিরিক্ত যাত্রী না উঠে, সেটিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, মাননীয় রেলমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। ট্রেনে এক দরজা দিয়ে ঢোকার ও অন্য দরজা দিয়ে বের হওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাত্রী ওঠার আগে পুরো ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হয়।