

ফয়সাল আলম সাগর, বিশেষ প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাত আংতকে রাজ জেগে পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী। মঙ্গলবার রাতেও উপজেলার কৈয়ারবিলের খিলছাদেক গ্রামে ডাকাত দল হানা দেয়ার চেষ্টা করলে জনতা প্রতিরোধ করে, একই রাতে ইউনিয়নের ইসলাম নগর গ্রামের পেঁচাপাড়ায় হানা দেয়ার চেষ্টা করে ডাকাত দল। হারবাং ইউনিয়নেও ডাকাতদল হানা দেয়ার চেষ্টা করলে জনতা ধাওয়া করে। গ্রামবামী ও পুলিশ পাহারা দেয়ার কারণে গত দুইদিন ডাকাতি সংঘটিত করতে পারেনি ডাকাতদল। অন্যদিকে গত ২দিনে পুলিশের সাড়াশি অভিযানে জনতার সহযোগিতায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ ডাকাত।
জানাগেছে, মাহে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে চকরিয়া উপজেলার সড়ক ও মহাসড়ক ছাড়াও গ্রামে ডাকাতের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন, হারবাং ও বরইতলী ইউনিয়নে পৃথক কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের গুলিতে এক গৃহকর্তা গুরুতর জখম হয়। পরপর ডাকাতির ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করে। ডাকাতদলের ডাকাতি প্রতিরোধ করতে চকরিয়া থানার নবাগত ওসি শফিকুল ইসলাম প্রতিটি ইউনিয়নে বিটপুলিশিং সভা করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নেন। ডাকাতপ্রবন এলাকাগুলোতে তিনি বিটপুলিশিং সভা সম্পন্ন করেন। একই সাথে অভিযানও অব্যাহত রাখেন তিনি। ফলে ডাকাতি কমলেও গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক কাটেনি।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, রমজান মাসকে সামনে বিভিন্ন ইউনিয়নে ডাকাতি ঘটনার খবর এসেছে। ডাকাতি প্রতিরোধ করতে নানামুখি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা বিটপুলিশি অভিযান জোরদার করেছি। গত সোমবার ও মঙ্গলবার ২দিনে অভিযানে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরইতলী ইউনিয়নের নুরুর ছেলে আবুল বশর প্রকাশ লালাইয়া(২৮), মৃত মুস্তাক আহমদের ছেলে আহমদ হোসাইন(৩৫) ও মো: আনোয়ার হোসনের ছেলে মো: ইসমাইল(৩৫), চট্টগ্রামের বাকলিয়াস্থ চকবাজার এলাকার মৃত মনুমিয়ার ছেলে মোঃ তৈয়ব(২৬) ও রাহাত্তারপুল এলাকার রফিকের ছেলে নাজিম উদ্দিন(২৫)। আটককৃতদের কাছ থেকে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ওসি শফিকুল ইসলাম আরও জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়েছে। ডাকাতপ্রবন এলাকাগুলোতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।