গণফোরামের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের বিবাদমান দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংগঠনটির একটি অংশের কাউন্সিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে একপক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে বের করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রেস ক্লাবে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন অংশের কাউন্সিল ছিল। আর মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন আরেক অংশ প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে। এসময় তারা কাউন্সিলে ঢুকে পড়লে উত্তেজনা শুরু হয়।
তারপর দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ায় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলার বিষয় দুই পক্ষই একে অপরকে দুষছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণফোরামের অপর অংশের নেতা মন্টু। তিনি বলেছেন, তার অনুসারী কেউ ওই কাউন্সিলে ঢোকেনি।
ঘটনার সময় উভয় অংশের সিনিয়র নেতা ড. কামাল হোসেন কিংবা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চোধুরী কেউ উপস্থিত ছিলেন না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মন্টু নেতৃত্বাধীন অংশেরন নেতা-কর্মীরা প্রেস ক্লাবের বাইরে মানববন্ধনের পর স্লোগান দিতে দিতে মিলনায়তনে ঢুকে পড়ে। তারা মোকাব্বির খানকে ‘সরকারের দালাল’ আখ্যায়িত করে স্লোগান দেয়।
এরপর দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। মঞ্চ থেকে নেমে এসে থামাতে গেলে প্রতিপক্ষের ছোড়া চেয়ারের আঘাতে জখম হন মোকাব্বির।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার পরিদর্শক শেখ আবুল বাশার বলেন, “গণফোরামের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে কাউন্সিল করতেছিল, আরেক অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে।“কিছুক্ষণ পরে হট্টগোল দেখে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করেছি। সেখানে দুই পক্ষই উপস্থিত ছিল।”২০১৯ সালে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলের পর দলটিতে কোন্দল চলছে। এক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারও চলে।