করোনা প্রাদুর্ভাব এ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্রের পাশে এস এম একরামুল হক।
মুজিবুল হক,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নভেল করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ এ সারা বিশ্ব ও দেশ যখন যবুথবু অবস্থা তখন খাওয়া পড়ার চিন্তায় চরম বিপাকে হতদরিদ্র মানুষ।খেটে খাওয়া এই সাধারণ মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন বোয়ালখালীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নমূলক সংস্থা ট্যালেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কেন্দ্রীয় লন্ডন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম একরামুল হক। করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভবে সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ পরিবারকে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন নিজ হাতে। করোনা বিস্তার রুখতে বাসায় থাকা ও হাত মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প নেই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ গবেষকরা।গ্রামবাসীর কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়ায় হাত-পা ধোয়ার জন্য নিজ উদ্যােগে নলকূপ বসিয়ে দিয়েছেন তিনি।এসময় শিক্ষা, সাংস্কৃতিক উন্নয়নমূলক সংস্থা ‘ট্যালেন্ট বোয়ালখালী’র প্রতিষ্ঠাতা এস এম একরামুল হক বলেন, নলকূপটি এলাকাবাসীর ব্যবহারের স্বার্থে বসানো হয়েছে। নলকূপের সাথে রাখা হয়েছে জীবাণুনাশক সাবান। খাবার পানিও নেওয়া যাবে এ নলকূপ থেকে।তিনি বলেন, মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ সিয়াম সাধনার মাস ‘রমজান’ কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়।

এ সময়ে নলকূপটি বসানোয় কাজে আসবে এলাকাবাসীর।এলাকাবাসীরা বলছেন সড়কের পাশে নলকূপ বসানোয় এলাকাবাসীর পাশাপাশি পথচারী ও জমিতে কাজ করতে কৃষকরা ব্যবহার করতে পারবেন। এ উদ্যােগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাব প্রতিরোধে সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এতে জমিতে কাজ করতে যাওয়া কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। খাবার পানি অনেক দূর থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে, বিশেষ করে এ সময়ে যেকোনো গৃহস্থের বাড়িতেও যেতে পারছেন না। এ নলকূপ বসানো তারা উপকৃত হয়েছেন। এসময় মানবাধিকার কর্মী ও ট্যালেন্ট বোয়ালখালীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম ইকরামুল হক আরো জানান চাকরি ও ব্যবসার সুবাধে দেশের বাইরে থাকলে দেশের মানুষের জন্য কাজ করার তাড়না ছিলো বরাবরই বেশি।সেই সুবাধে নিজের উদ্যােগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি পাশাপাশি তরুণদের নিয়েও কাজ করার যেহেতু পরিকল্পনা আছে সেহেতু একটি সংগঠন(ট্যালেন্ট) ও দাড় করিয়েছি।করোনার প্রাদুর্ভাব যতদিন চলবে চেষ্টা করবো মানুষের পাশে থাকার জন্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।