করোনায় ছাত্রনেতা তপুর মানবতা
মুজিবুল হক,চট্টগ্রাম : করোনা সংকটে থমকে যাওয়া জীবন যাত্রায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে মানবসেবায় নতুন নতুন আইডিয়ার জন্ম দিয়ে হাজারো মানুষকে মানবিক সহয়তা পেতে পথ সুগম করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী (তপু)। তপু নগর ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন দীর্ঘকাল। কমিটি নিয়মিত না হওয়ার কারণে পরিচয়হীনভাবে বিদায় নেন ছাত্রলীগ থেকে। ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক জিএস আরশাদুল আলম বাচ্চুর অনুপ্রেরণায় চালিয়ে যাচ্ছেন মানবসেবা। তাকে কেউ ডাকছেন মানবতার ফেরিওয়ালা” কেউ ডাকছেন “আইডিয়া ম্যান” করোনায় শত বাধার সত্বেও থেমে যাননি সচেতনতার সাথে চালিয়ে গেছেন মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা। নগরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ফ্রি সবজি বাজার, ফ্রি পুষ্টি গাড়ি, ফ্রি টেইলার্স ,সেহেরি বিতরন,করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনামূলক প্রচারণা, মাস্ক, সাবান ও মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ সর্বশেষ ফ্রি চিকিৎসা সেবাসহ কর্মসূচিগুলো প্রশংসিত হয়েছে সারাদেশের সাধারণ মানুষ হতে শুরু করে সরকারের র্উদ্ধতন পর্যায়ে তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী তপু’র উদ্যোগে করোনায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম শনিবার এপ্রিলের শুরুর প্রথম দিকে চট্টগ্রাম শহরে বিনা মূল্যের বাজার “ফ্রি সবজি বাজার” চালু হয়। প্রতিদিন ৫০০ কেজি নানান জাতের সবজি নিয়ে পাঁচটি ভ্যানগাড়ি “ফ্রি সবজি বাজার” চট্টগ্রাম শহরের অলি-গলিতে ঘুরেছে শিরোনামে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রচার হওয়ার পর কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষজনের দুর্ভোগ কমাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘ফ্রি সবজি বাজার’নিয়ে হাজির হন দেশের সর্বস্তরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফ্রি সবজি বাজার দেশব্যাপী জনপ্রিয় হলে সারাদেশে সামাজিক সংগঠন,বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রাম গঞ্জে বিভিন্ন ব্যানারে অনেকই এমন উদ্ধেগ গ্রহন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রি সবজি বাজারের প্রশংসা করেছেন।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীরা ফ্রি সবজি বাজারের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং এ জন্য ছাত্রলীগ সহ দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বাজারে কৃষকরা সবজি বিক্রি করতে পারছিলেননা, তখন সেই সবজি কিনে বিনা পয়সায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে দলের নেতাকর্মীরা। এ ফ্রি সবজি বাজার থেকে দেশের ৬৫ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। ফ্রি সবজি বাজার প্রসঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী (তপু) বলেন, মানুষের পাশে দাড়ানো চেষ্টা অন্তরের অনুভূতি থেকেই ফ্রি সবজি বাজারের আইডিয়ার জন্ম তবে যে পরিমান অর্থ প্রতিদিন বাজারে ব্যয় হচ্ছে তা বহন করার সামর্থ আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা।”ফ্রি সবজি বাজার” এর ছবি ৫ এপ্রিল প্রথম দিন ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর অনেক সাধুবাদ অভিনন্দন জমা হয়েছে ঠিকই কিন্তু এগিয়ে আসেনি কেউ।পরে এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আরশাদুল আলম বাচ্চু ভাইয়ের সহযোগিতায় ফ্রি সবজি বাজার আয়োজনটি আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।আরশাদুল আলম বাচ্চু ভাই উদ্যেগি হয়ে যদি এগিয়ে না আসতেন মানব সেবার স্বপ্ন ঘুমিয়ে পড়ত অনেক আগেই তাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য দাবিদার একমাত্র তিনি। তপু আরো বলেন,দেশের এই ক্রান্তিকালে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশের দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।করোনা সংকটের এই দুর্দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেন তখন থেকেই চেষ্টা করছি মানুষের পাশে থাকার।আমার সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে তাদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি।