ওয়াকিটকি মামলায় সু চির ৪ বছরের জেল
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখাসহ আরো কয়েকটি অভিযোগে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সামরিক আদালত। মামলার বিচারের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।রয়টার্স লিখেছে, মামলার বিচারকাজে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে কয়েদীদের পোশাক হিসেবে সাদা জামা এবং বাদামি রংয়ের লুঙ্গি পরে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে। ওয়াকিটকি রাখার জন্য ২ বছর এবং করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে ২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।
সামরিক অভ্যুত্থানে সু চি আটক হওয়ার পরপরই পুলিশের একটি নথিতে বলা হয়েছিল, তার বাড়িতে ছয়টি ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে। সেগুলো অবৈধভাবে আমদানি করে অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে।ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১১টি মামলা হয়েছে। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এ নেত্রীর সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচনি প্রচারণায় কোভিড নিয়ম লঙ্ঘন এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগে সু চিকে চার বছর সাজা দেয় জান্তা আদালত। পরে সেই সাজা কমিয়ে ২ বছর করে দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর সু চিকে গ্রেপ্তার করে তা বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আনা হয়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সু চি।
সামরিক শাসনের বিরোধিতা করায় সু চি ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বহু বছর গৃহবন্দি ছিলেন। ওই বছর মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি বড় ধরনের জয় পায়।২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে তার দল ফের জয় পায়। এর কয়েক সপ্তাহ পর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে।