এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হবে। এর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সুরক্ষা অ্যাপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা দিলেই শুরু হবে নিবন্ধন। প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ ২২ জেলায় শুরু হবে কর্মসূচি।বিশ্বের অনেক দেশেই স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে সম্মতি পেয়েছে। এরপরই ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বড়দের টিকাকেন্দ্র নয়, আলাদা কেন্দ্র থেকে টিকা পাবে টিকা শিক্ষার্থীরা। রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসতে পারে সেন্টার। আর ঢাকার বাইরে আপাতত ২১ জেলায় শুরু হবে কর্মসূচি। এসব জেলায় প্রস্তুত টিকা সংরক্ষণ ব্যবস্থা।
টিকা পেতে সুরক্ষার অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হয়। জন্ম সনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে এই অ্যাপেই তৈরি করা হয়েছে নতুন অপশন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা পেলে এই অ্যাপে তা যুক্ত করা হবে।
সরকারের হাতে মজুদ ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভাইভারস কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম চলতি সপ্তাহেই স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রাথমিকভাবে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, সক্ষমতা অনুযায়ী জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি এই সপ্তাহেই আমরা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেখানে একসঙ্গে অনেক শিশুকে টিকা দেয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে দেয়া হবে। এসব কেন্দ্রে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, শিশু-কিশোরদের টিকার বিষয়টি নানা কারণে এখনো হয়ে উঠেনি। তবে, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুদের টিকা প্রদানে সম্মতি দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। সেটি মাথায় রেখে আমরাও শিশুদের এ টিকা দেবো। তাদের জন্য আলাদা টিকা কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০ থেকে ১০০ জনকে দিয়ে শুরু করে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর বড় আকারে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এর আগে রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, দুয়েক দিনের মধ্যেই সরকার ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু করবে। শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেয়া হবে। জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।