ঈদের পর সবজি-মুরগির দাম কমেছে

Share the post

ঈদ পরবর্তী রাজধানীর বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি ও  মুরগির দাম কমেছে। সরবরাহ ভালো থাকায় গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে।একই সঙ্গে আলু আগের দামেই বিক্রি হলেও পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম দেখা গেছে।বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ পরবর্তী সরবরাহ ভালো থাকায় গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন প্রকারভেদে কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকায়, পটল কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা, কচুর মুখী ১০০ টাকা, কচুর লতি কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে সাজনা ১৬০ টাকা ঝিঙ্গা ৭০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এসব বাজারে সিম ৬০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকা টমেটো কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদ পরবর্তী শশা কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, কেপসি ক্যাপ ১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক আঁটি ১০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে ঈদ পরবর্তী মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩২০ এবং সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বগুড়ার লাল আলু ৩০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে আদা ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে মিনি কেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজির সের ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।

অন্যদিকে ঈদ পরবর্তী মাছ বাজার অনেকটাই ক্রেতা-বিক্রেতা শূন্য ছিল দুই চার জন বিক্রেতা কয়েক পদের মাছ নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে দামটা মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ইউনাইটেড চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় নতুন কমিটি ঘোষণা।

Share the post

Share the postমোঃ রুবেল: ইউনাইটেড চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ।স্বেচ্ছায় রক্তদান নিয়ে কাজ করছে সামাজিক সংগঠন’ ইউনাইটেড চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় ও ৮ বিভাগের চলোমান কর্যক্রম। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি নিয়ে নতুন পথ চলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল। একের কাঁদে অন্য হাত,মানবতার বাঁধন টিকে থাক,এই স্লোগানকে বুকে লালন করে একদণ তরুণ স্বেচ্ছাসেবক মানবতার […]

চন্দনাইশে মানবতার ফেরিওয়ালার পক্ষ থেকে এক নারীকে সেলাই মেশিন উপহার

Share the post

Share the postমোঃ রুবেল খান, চট্টগ্রাম:চন্দনাইশের মধ্যম হাশিমপুর ৪নং ওয়ার্ডের মোজাহের পাড়ার বাসিন্দা মুন্নি নামে এক নারীকে সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারী উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।