অসহায় তামিম ককে ববাঁচাতে সবাই সহযোগীতার হাত বাঁড়িয়ে দিন।

Share the post

মোঃ ফায়েল খান,সন্দ্বীপ প্রতিনিধি : মা ও শিশু হসপিটাল।মানুষ মানুষের জন্য আমি আত্মীয় না রক্তের কেউ না। সারাদিন দোকান বন্ধ রেখে ছুটে গেছি মানবিক কাজে।মানব সেবা পৃথিবীর সেরা কাজ।সন্দ্বীপ মুছাপুর ইউনিয়নের এক গরীব অসহায় পরিবারের কোলে জন্ম নেই শিশু তামিম।জন্মের পর পর সন্দ্বীপ মেডিকেলের ডাক্তাররা তামিম কে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যায়তে বলেছেন।ঐদিকে চট্টগ্রাম যাওয়ার কোন টাকা হাতে নেই শিশু তামিমের মা বাবার হাতে। তামিমের মায়ের গহনা বিক্রি করে চট্টগ্রাম মেডিকেল শিশু তামিম কে এন আই সিউতে ভর্তি করানো হয়। ৫দিন চিকিৎসার পর ওরা আর খরচ চালতে পারেনি শিশু তামিম কে নিয়ে তার অসহায় মা বাবা সন্দ্বীপ চলে যান।
তামিমের জেঠাতো ভাই সৌদিআরব তার একজন বন্ধু কে কল করে তামিমের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা চাইলো। ঐ বন্ধু সৌদিআরব থেকে আমাকে কল করে ম্যাসেন্জারে শিশু তামিমের ছবি এবং বিস্তারিত আপডেট জানাই।এর মধ্যে আমরা ফেসবুক ম্যাসেন্জারে ৫ জনের একটা গ্রুপ ওপেন করি।
ঐরাত আমার ঘুম হচ্ছে না শুধু শিশু তামিমের ছবি আমার চোখে ভাসতেছে। রাতের দুহইটা বাজে চিন্তা করলাম ওর জন্য কিছু একটা করি।
আমেরিকাতে আমার খুব কাছের কয়েকজন কে বিস্তারিত জানালাম। ম্যাসেজ পেয়ে একজন মামী একজন আপু একজন ভাবীএবং একজন বড়ভাই নাম পরে বলবো সাথে সাথে আমাকে কল দেয় বিস্তারিত জানলো।
আমাকে বললো এই শিশুর জন্য মোট কতো টাকা খরচ হবে ডাক্তারের সাথে কথা বলে পরামর্শ নাও।এরপর আমাকে জানাও। এই সাহসে সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। ঐদিকে আমরা কিছু টাকা কালেকশন শুরু করেছি ফেসবুকে কোন পোস্ট ছাড়া ম্যাসেন্জারের মাধ্যমে।
গতদুদিন ধরে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হসপিটালে শিশু তামিমের জন্য কোন সিট খালি পাইনি। আজ মা ও শিশু হসপিটালের ডিরেক্টর মোশাররফ ভাই কে কল দিয়ে এন আই সিউ সিট বুকিং করে ৪ঘন্টার ভিতরে ওদেরকে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম আনছি। সোজা মা ও শিশু হসপিটাল টিকেট করে ডাক্তারের রুমে নিয়ে যায়।ডাক্তার দেখে তারপর ভর্তি দিয়েছে।
৬ঘন্টা মেডিকেলে ছিলাম।তবে ঐসময় কোন বড় ডাক্তার বা প্রফেসর ছিলোনা। ওনারা সকাল ৯টায় আসবে এরপর আমরা শিশু তামিমের আপডেট জানতে পারবো।
বর্তমানে তামিমের শরীরের অবস্থা ভালোনা।
মেডিকেলে আমার একজন বান্ধবী নার্স ও আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে।
তামিম কে পুয়ার পান্ড কোটাতে ভর্তি করাইছি।
আমার ডাক্তার বান্ধবী বলতেছে এই রোগী কতদিন বা কতমাস হসপিটালে থাকতে হয় তারকোন নির্দিষ্ট দিন নাই।
রোগী সুস্থ হওয়া পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তি থাকতে হবে।
ও আমাকে বলতেছে সবমিলিয়ে ১ লক্ষ ৬০/৭০ হাজার টাকা হাতে রাখতে হবে।
আগামীকাল ডাক্তাররা ওরে দেখার পর সিদ্ধান্ত নিবে তামিম কে মা ও শিশু হসপিটাল রাখবে না কি উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোন মেডিকেল ভর্তি করাতে হবে।
সকলের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করি।
সবাই শিশু তামিমের জন্য দোয়া করবে।
কেউ যদি সহযোগিতা করতে চান আমার বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিকাশ নাম্বার নিম্নে দেওয়া হলো।

মোশাররফ(শিশুর চাচা)
-01860388388
-01852898901

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি,যুবকের মৃত্যু

Share the post

Share the postমাহমুদুল ইসলাম সাগর ,সাভার উপজেলা প্রতিনিধি : সাভারে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির (১৯) নামে এক যুবককের মৃত্যু হয়। এরআগে গত ৯ আগস্ট গণপিটুতি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন পথচারীরা। রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাছিম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এরআগে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে […]

রাকসু’র ভোটার তালিকায় নাম না আসায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন

Share the post

Share the post সৈয়দ মাহিন ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:রাকসু’র ভোটার তালিকায় নাম সংযুক্ত করে নির্বাচন করার বৈধতা চেয়ে অথবা রাকসুতে জমা হওয়া ফি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন মো. সারোয়ার জাহান। তিনি রাজশাহীর […]