অক্সিজেন সেবায় করোনা রোগীর পাশে মোখছেদুল মোমিন।
রাজু আহম্মেদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে করোনা মোকাবিলায় অক্সিজেন সংকট নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করছেন সৈয়দপুর উপজেলার চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন।মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের শ্বাসকষ্টে ছটপট করা রোগীরা হটলাইনে কল করলেই গন্তব্যে পৌছে যাবে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার। আর এ সেবা চালু করেছেন নিঃশ্বাসের সেবায় একজন বিশ্বাসী মানুষ হিসাবে আবির্ভুত হয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন।
সারা বিশ্বে যখন করোনা ভাইরাসে নাযাহাল,তারেই ধারাবাহিকতায়,সৈয়দপুরে প্রতিনিয়ত হুর হুর করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সাথে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্টে ভোগা করোনা রোগীদের অক্সিজেন এর সংকট। আর সেই সংকট দুর করতে যেনো কোমর বেধে নেমেছেন উপজেলার চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন।ফ্রি অক্সিজেন সেবা পরিচালনা করার জন্য হটলাইন নম্বর তিনি নিজেই রিসিভি করেন। এবং নিজেই কোথায় অক্সিজেন যাবে তা সরবরাহ করার ব্যবস্থা করছেন। অক্সিজেন প্রয়োজন হলেই তখন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যায় স্বেচ্ছাসেবকরা।মানবতার সেবায় ৪০ জনের একটি টিম অক্সিজেন সরবরাহ কাজে নিয়জিত রয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে পৌছে গেছে অনেক যায়গায় এই অক্সিজেন সেবা। শহর কিংবা গ্রাম, দিন হোক কিংবা রাত, সেবা চলছে নিজস্ব গতিতে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, চেয়ারম্যান হিসাবে অত্র উপজেলারবাসীর কাছে এই সেবা পৌছে দেওয়ার পাশাপাশি একজন মানবিক মানুষ হয়ে সেবা করে পৌছে দিতে খুব স্বাচ্ছন্দবোধ করছি। এই সেবা চলমান থাকবে। অক্সিজেন প্রয়োজন হলে হটলাইনে কল করলেই আমরা দ্রুত পৌছানোর ব্যবস্থা করে আসছি। ভালো কাজে সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি সৈয়দপুরে মানবিক এই কার্যক্রমে আমরা সবাই যুক্ত হয়ে হাতে হাত রেখে আসুন এক সঙ্গে কাজ করি।
তিনি আরও বলেন, আমার সার্বিক তত্ত্বাবধানে, করোনা আক্রান্ত এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে শ্বাস কষ্ট জনিত রুগীদের “বিনা মুল্যে অক্সিজেন সেবা” গত ২২-০৭-২১ ইং তারিখ হইতে প্রদান করা হচ্ছে।
অপরদিকে যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে শ্বাস কষ্টে ভুগছেন, তাদের বেশীর ভাগ রুগী কোনভাবেই হাসপাতালে যেতে আগ্রহী না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকিতে পড়ছেন। আমি বিনীতভাবে বলতে চাই সঠিক সময়ে করোনা টেস্ট করে সঠিক চিকিৎসা নিন।এবং শ্বাস কষ্ট মনে হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিন।
আমরা আপনাদের পাশে তাতক্ষনিক অক্সিজেন সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি তবে সেটি দীর্ঘ স্হায়ী নয়।