ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ

Share the post

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শুধু দেশেই নয় দিবসটি একই সঙ্গে পালিত হবে দেশের বাইরে ৭৭টি মিশনেও। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ যে সময়ে ভাষণ দিয়েছিলেন ঠিক একই সময়ে তার ভাষণ একযোগে প্রচার করা হবে সারা দেশে।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে দিবসটি পালনের পাশপাশি জেলা, উপজেলা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হবে।

একাত্তরের ৭ই মার্চে রেসকোর্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য উজ্জীবিত করেছিলো বাঙালিকে। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেওয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’। প্রকৃতপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

৭ই মার্চ সরকারিভাবে কোনো ছুটি না থাকলেও ঐতিহাসিক এই দিনটিকে এরই মধ্যে ‘ক’ শ্রেণির তালিকভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো। সংস্কৃতি, শিক্ষা ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে দিবসটিকে পালন করবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated