অবশেষে উদ্বোধন হচ্ছে চট্টগ্রামের শেখ রাসেল পানি শোধনাগার
এক বছর পরীক্ষামূলক চালুর পর অবশেষে উদ্বোধন হচ্ছে চট্টগ্রামের শেখ রাসেল পানি শোধনাগার। যেখান থেকে পাওয়া যাবে ৯ কোটি লিটার পানি। এখান থেকে উৎপাদিত পানি সরবরাহ করা হবে বাকলিয়া, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকায়। চট্টগ্রাম নগরীর পানি সংকট নিরসনে আরো দুটি প্রকল্প চলমান আছে সংস্থাটির। দ্রুত এ সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ২৪ ঘন্টা পানি পাবে নগরবাসী।
কোনটিতে চলছে ব্যাকটেরিয়া নাশক রাসায়নিক মিশ্রন আবার কোনটিতে পানি স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া। হালদা নদী থেকে তোলা পানি এভাবেই খাবার উপযোগী করা হচ্ছে চট্টগ্রামের মদুনাঘাটে শেখ রাসেল শোধনাগারে।
বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে ২০১৫ সালে শুরু হয় এ প্রকল্পের কাজ। প্রায় ১৮ শ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। একবছর পরীক্ষামূলক চালানোর পর রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক উৎপাদনে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, রোববার (২৬ জানুয়ারি) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। পুরোপুরি মডার্ণ ডিজাইনে এটি করা হয়েছে। আর সেকারণেই এটার পানির কোয়ালিটি অনেক ভাল।
প্রায় ১৩ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত এ প্ল্যান্টে পানি শোধনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক টিউব সেটলার প্রযুক্তি। উৎপাদন প্রক্রিয়ার বর্জ্য কাদামাটিতে রুপান্তর করতে ব্যবহৃত হয় ম্যাকানিক্যাল ডিহাইড্রেটর। যা বাংলাদেশে প্রথম। এই প্ল্যান্টে উৎপাদিত পানি সরবরাহ করা হয় নগরীর বাকলিয়া, আন্দরকিল্লা,পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকায়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, জাপান-কোরিয়া এসব জায়গায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসিন কাজী বলেন, একসময় এই এলাকায় পানির হাহাকার ছিল, কিন্তু এখন বাকলিয়াবাসী ভালোভাবে পানি পাচ্ছে এবং স্মমিলিত অন্যান্য এলাকার লোকজনও পানি পাচ্ছে।
নগরীর মোট চাহিদার ২১ ভাগ পানি সরবরাহ করবে এই শোধনাগার।
চট্টগ্রামে পানির মোট চাহিদা ৪২ কোটি লিটার। এই প্ল্যান্টে ৯ কোটিসহ ওয়াসার উৎপাদন ক্ষমতা ৩৬ কোটি লিটার। ঘটতি পূরণে আরও ২টি পকল্পের কাজ চলমান আছে। যা শেষ হবে ২০২২ সাল নাগাদ।