

মোঃ ফায়েল মাহামুদ (সন্দ্বীপ প্রতিনিধি):পাসপোর্ট সংশোধনের কাজ না হওয়ায় দালালের কাছে দেয়া আড়াই লাখ টাকা ফেরত চেয়েছিলেন চট্টগ্রাম থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সন্দ্বীপের সন্তান মেহেদী। আর তাতেই দিতে হয় প্রাণ। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য দূর করতে বিভিন্ন সময়ই চালানো হয় শুদ্ধি অভিযান। তারপরও নানা কায়দায় জালিয়াতির পথ খুঁজে নেয় তারা। এমনই প্রতারণা ধরে ফেলায় খুন করা হয় চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদীকে। আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে তিনটি পাসপোর্টের নাম সংশোধন করতে দিয়েছিলেন মেহেদী। কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে কৌশলে দালাল আহসান ও তার সহযোগীরা তাকে খিলখেতের বাসায় নিয়ে যায়। প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে, পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে হাতিরঝিলে ফেলে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, তারা যখন কোনো গাড়ি পায় না তখন আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির গাড়ি তারা নিয়ে আসে। এ গাড়িতে লাশ ফেলানোর কথা ছিল অনেক দূরে, সাইদাবাদের দিকে।
যখন দেখছে বাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, হাতিঝিল অনেক অন্ধকার সেখানে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। বুধবার (১৪ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, মেহেদীর লাশের কিছুটা দূরে পরে থাকা একটি কাগজের টুকরোয় পাওয়া ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মেহেদীর পরিচয় নিশ্চিত হন তারা। এরপর একে একে আসামি আহসান, তামিম, আলাউদ্দিন ও রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ছোট একটা চিঠির বরাত দিয়ে আমরা কিন্তু প্রথম ধরি আহসান, তামিমকে। তারপর আমরা আলাউদ্দিনসহ সবাইকে গ্রেফতার করি। সোমবার (১২ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর হাতিরঝিলের মেরুল বাড্ডা প্রান্ত থেকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা মেহেদীর পলিথিনে মোড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পাসপোর্ট অফিসের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।