সৈয়দপুরে যুবলীগ নেতা দিলনেওয়াজ খানের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনের সংবাদ সন্মেলন
ওয়াহেদ সরকার, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী যুব লীগের আহবায়ক দিলনেওয়াজ খানের বিরুদ্ধে শহরের দিনাজপুর রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন এক সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দিলনেওয়াজ খান রাজাকারের সন্তান। তার পিতা নঈম খান ছিলেন রাজাকার ও যুদ্ধপরাধী। পাকিস্তান আমলে দিনাজপুর জেলার রেলওয়ের শহর পার্বতীপুরে বাস করতেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পিতা নঈম খান মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজাকার আলবদর আলসামস ও বিহারীদের দলে নিয়ে এলাকার ¯^াধীনতাকামী মানুষের বাড়ীঘর জালিয়ে দিয়েছে, লুটপাঠ করেছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, হত্যা করেছে নারী ধর্ষণ করেছে। যা মানবতা বিরোধী। দেশ¯^াধীনের পর পার্বতীপুর থেকে ¯^পরিবারে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পালিয়ে এসে অবস্থান নেয়। তারই সন্তান দিলনেওয়াজ খান যুব লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক।
তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিস্কার ও দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলেছেন কোন রাজাকার সন্তান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কখনো আশ্রয় কিংবা পদ পদবী পাবেনা। তাদের চিহিৃত করে দল থেকে বের করে দিতে হবে। তার পিতা যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার। সে হত্যা মামলার আসামী। তার নামে রংপুর জজ আদালতে একটি হত্যা মামলা রয়েছে যার নং ৫১/৭০। রাজনীতিতে তার কোন যোগ্যতা নাই। সে অর্থের বিনিময়ে এ পদে এসে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেয়ার ও তার নব অপকর্ম ঢাকার জন্য আওয়ামী লীগে এনেছে। তিনি সন্মেলনে বলেন, এই সংবাদ সন্মেলন না করার জন্য রাজাকারের সন্তানের পক্ষ হতে হুমকী প্রদান করা হয়েছে। তিনি প্রশাসন ও দলের নেতাকমীদের সজাগ সহ সৈয়দপুর বাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। সেই সাথে তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানান যুদ্ধাপরাধী রাজাকার খুনী নঈম খানের সন্তান দিলনেওয়াজ খানকে যুবলীগসহ দলের সকল পদ থেকে অপসারণ করে দলকে কলঙ্কমুক্ত করার অনুরোধ করেন। এ সন্মেলনে বক্তব্য বলেন শহীদ সন্তান সাবেক অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন, সমাজসেবক প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাশেদ, ইউনুস কবীর, হিটলার চৌধুরী (ভলু), বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা সালাউদ্দিন বেগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী প্রমুখ। সভার শেষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পার্বতীপুরে রাজাকার নঈম খানের অপকর্মের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।