করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সংসদে যেতে ‘মানা’ চট্টগ্রামের ৬ এমপির
জাতীয় সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে চট্টগ্রামের ৬ সাংসদসহ অন্তত ৪০ জন সংসদ সদস্যকে যোগ না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে সংসদের হুইপের দফতর থেকে ফোন করে তাদের সংসদে যোগ না দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারি দলের প্রভাবশালী সদস্যরাও রয়েছেন। তালিকায় চট্টগ্রামের এক মন্ত্রী, উপ মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও তিন সাংসদও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম থেকে সর্তকতার অংশ হিসেবে সংসদ অধিবেশনে যোগ না দিতে যাদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা হলেন, চট্টগ্রাম-১ আসনের ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন, পার্বত্য
চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীব বাহাদুর উশৈসিং, চট্টগ্রাম-৬ আসনের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম ৮ আসনের মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের করোনা পজিটিভ হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকেও সংসদে যোগ না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে বীর বাহাদুর উশৈসিং, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোছলেম উদ্দিন আহমেদ করোনা পজেটিভ।
হুইপের দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোস্টার তৈরির আগে অধিবেশনে একেবারেই অংশগ্রহণ করবেন না, এমন আক্রান্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের তালিকা তৈরি করা হয়। এমন অন্তত ৩৫ জনের মতো সদস্যের তালিকা তৈরি করে তাদের অধিবেশন শুরুর আগেই না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোনও কোনও সংসদ সদস্য নিজে, তার পরিবারের সদস্য বা ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পজিটিভ হওয়ার কারণে এই সংখ্যা ইতোমধ্যে বেড়েছে। অধিবেশনের বাকি সময়ের মধ্যে এই তালিকা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেসব সংসদ সদস্য ঝুঁকিপূর্ণ, যেসব সদস্য বা তাদের পরিবারের কারও করোনা পজিটিভ হয়েছে এবং করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে গেছেন, তাদের সংসদে না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণের মধ্যে কোনও সংসদ সদস্যের টানা ৯০ দিন অধিবেশনে অনুপস্থিতির আশঙ্কা থাকলে, তাদের হাজিরা দিতে একদিনের জন্য অধিবেশনে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরকারি দলের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘কোনও সংসদ সদস্যকেই অধিবেশনে যোগ দিতে নিষেধ করিনি। করোনাভাইরাসজনিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রবীণ ও অসুস্থ সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে আসতে নিরুৎসাহিত করেছি। সংসদের সিনিয়র সদস্যদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এটা করা হয়েছে। তবে যারা করোনা পজিটিভ—তাদের সবাইকে নিষেধ করা হয়েছে।’
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ‘আমরা বাজেট অধিবেশনে উপস্থিতির বিষয়ে জোর গুরুত্ব দিচ্ছি না। গুরুত্ব দিচ্ছি স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর। এজন্য কিছু কিছু সিনিয়র সংসদ সদস্যকে বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বৈঠকে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’