মহামারী করোনা ভাইরাস এর মধ্যে জীবিকার তাগিদে একজন সচেতন দোকানদার
তৌহিদুল ইসলাম(রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি): কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ লকডাউনের কারণে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে৷ দৈনন্দিন জীবন এলোমেলো, কমবেশি সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে।তবে সংকটময় এই পরিস্থিতিতে আমরা যদি আমাদের পরিবেশবান্ধব অভ্যাসগুলো ত্যাগ না করি, সেটা বরং আমাদের উপকারেই আসবে৷ বিশ্বের কাছে একেবারে নতুন এই ভাইরাসের ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি৷ তাই আমাদের ঘরে থেকে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নীতি মেনে চলে এই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হবে৷ তবে জীবিকার তাগিদে নিরুপায় হযে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হচ্ছে। তেমনই একজন ধামাইর হাট এর সাইফুল। তবে তিনি যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করছেন। প্রত্যেক কাস্টমার তার দোকানে আসার পর প্রথমে তাকে তিনি নিজ উদ্যোগে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেন এবং কাস্টমার চলে যাওয়ার পরও দোকানের সামনের অংশ স্প্রে করে দেন।এছাড়াও জীবাণুমুক্ত রাখতে তার দোকানের আসবাবপত্র তিনি নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করে।

যদি কোন কাস্টমার তার আসবাবপত্র সমূহ ব্যবহার করে কাস্টোমার ঐ স্থান ত্যাগ করার সাথে সাথে তিনি পুনরায় আসবাবপত্র সমূহকে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেন। যদি কেউ তার দোকানে মাক্স ছাড়া পণ্য ক্রয় করতে আসে তাহলে সে কাস্টমারকে মাক্স ব্যবহারে উৎসাহিত করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন: আমার কাছে মাক্স ছাড়া অনেক পরিচিত কাস্টমার আসে। আমি তাদের অনেক বকাঝকা করি। এবং মাক্স ব্যবহারে উৎসাহিত করি। যদি আমার খারাপ ব্যবহারে দুই একজন সচেতন হয় তাহলে সেটা সমাজের উপকারে আসবে। এবং আমি নিজে সচেতন থাকি কারণ আমারও পরিবার আছে। যদি কোন কাস্টমার থেকে আমি সংক্রমিত হয় তাহলে আমার পরিবার আমার থেকে সংক্রমিত হবে তাই আমি যথেষ্ট সচেতন থাকার চেষ্টা করি । আমি মনে করি প্রত্যেক মানুষের সচেতন হওয়া দরকার।