এতিমদের মাঝে ঈদানন্দ ছড়ালেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান
লোহাগাড়া প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা এবার এতিম বাচ্চাদের মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ছুটে গেলেন অজপাঁড়ার এক এতিমখানায়।
করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে ২৪ মে মধ্যদুপুরে তীব্র রোদের মধ্যে ছুটে যান সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়নের ছোট ঢেমশা গ্রামের শাহ মজিদিয়া-শাহ রশিদিয়া হেফজখানা ও এতিমখানায়। তিনি সেখানে অধ্যয়নরত এতিম শিশুদের খোঁজ-খবর নেন। পরবর্তীতে এতিমদের মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বিতরণ করেন খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক ও পবিত্র কোরআন শরীফ।
উক্ত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল লাচ্ছা সেমাই, কুলসন সেমাই, নুডলস, গুড়া দুধ, সয়াবিন তেল, চিনি ও চাল। এ সময় তিনি এতিম শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পরামর্শ দিয়ে পবিত্র কোরআন শরীফ সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও পড়তে অনুরোধ করেন।
এ সময় হেফজখানা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ফজলুল কবির বলেন, পুলিশ কর্মকর্তার এমন মানবিক কাজ আমাকে অভিভূত করেছে। করোনা সংকটে পুলিশ সবার আস্থা অর্জন করেছে। এতিম বাচ্চারা এই খাদ্য সামগ্রী ও পবিত্র কোরআন শরীফ পেয়ে অত্যন্ত খুশি। তাদের ঈদের আনন্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সবাই এই মানবিক পুলিশ ককর্মকর্তা ও তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া করছি।
উপস্থিত ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. কামাল বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকেন। এতিম বাচ্চাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করে মহৎ কাজ করলেন। তাঁর এই মহৎ কাজের প্রতিদান মহান আল্লাহ দেবেন।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা বলেন, আমি প্রতি ঈদুল ফিতরে এতিম বাচ্চাদের পাশে থাকার সাধ্যমতো চেষ্টা করি। এতিমদের সহায়তা করার মত মহৎ কাজ খুব কমই আছে। এ ধরনের কাজ আমাকে স্বস্তি ও মানসিক প্রশান্তি দেয়। করোনা সংকটে এই এতিম বাচ্চাদের মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আজকের এই ক্ষুদ্র আয়োজন। আশা করি এই এতিম বাচ্চারা ধর্মীয় জ্ঞান লাভের মাধ্যমে একদিন সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বড় হয়ে তাঁরাও নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত করবে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রাণঘাতী করোনার সংকটময় মুহুর্তে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার দুই উপজেলার কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষ, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও প্রবাসীদের পরিবার, গণপরিবহনের চালক-হেলপারসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তাঁর এসব মানবিক উদ্যোগের করণে একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।