আকাশ থেকে দেশ দেখার ‘ফ্লাইট ফ্যান্টাসি’

কুয়াশা ঠেলে নভো এয়ারের উড়োজাহাজটি যত দক্ষিণ দিকে যেতে লাগল, আকাশ যেন নীল হয়ে গেল। ফুটে উঠল সূর্যের আলো। উল্লাস আনন্দে মেতে ওঠা এই শিশুদের মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার দৃষ্টি জানালা থেকে সরছিল না। শুধু সোহেল রানা নয়, তার মতো মোট ২০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে আজ সোমবার পাখির দৃষ্টিতে আকাশ থেকে বাংলাদেশকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা নভো এয়ার। শুধু আকাশই নয়, তারা দেখেছে বিশাল সমুদ্র। বিভিন্ন বয়সের এই শিশুরা একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিচালিত স্কুলের শিক্ষার্থী। নভো এয়ার এই আয়োজনের নাম দিয়েছে ‘ফ্লাইট ফ্যান্টাসি’। আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী এই আয়োজনে তাদের ঢাকা থেকে সকালে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়। দুপুরে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডে আনন্দঘন সময় কাটায় তারা। ঢাকা থেকে প্রায় এক ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছায় নভো এয়ার।
রেশমা আক্তার নামের এক শিশু বলে, ‘আমরা সবাই প্রথমবারের মতো প্লেনে উঠেছি, এত আনন্দ হবে কল্পনাও করতে পারিনি।’
মারিয়া আক্তার শারমিন নামে আরেক শিশু বলে, ‘আগে আমরা মাটি থেকে আকাশের দিকে তাকাতাম, উড়োজাহাজ দেখতাম। আজ আমরা আকাশ থেকে সেই মাটিকেই দেখলাম। নিজের দেশকে দেখলাম। নদীগুলো কেমন এঁকেবেঁকে গেছে।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তামজিদ ইসলাম বলে, ‘প্লেনে চড়ব, প্লেনে চড়ে সমুদ্রে ঘুরতে যাব, তা কখনো ভাবিনি। নভো এয়ারের কাছে কৃতজ্ঞ আমাদের এই স্বপ্নটাকে পূরণ করার জন্য।’ উম্মে হাবিবা নামে এক শিশু জানায় তাঁর অনুভূতির কথা। সে বলে, ‘আকাশে উড়েছি। সৈকতে খেলা করেছি। ফিশ ওয়ার্ল্ডে গিয়ে নানা ধরনের মাছ দেখেছি। অনেক মজা করেছি। এই ভ্রমণ আমার স্বপ্নের মতো হয়েছে।’
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ থেকেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান নভো এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। নভোএয়ার সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে। শিশুদের জীবন গড়ার চিন্তা-ভাবনার পরিধি যেন বড় হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’