

জলিলুর রহমান জানি, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির ( একনেক ) সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রকল্পের অনুমোদনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এই অনুমোদনের খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন এবং তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে গণ-অনশনের আয়োজন করেছিল। রবিবার দুপুর সোয়া ২টায় ডিপিপি অনুমোদনের খবর পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা অনশন ভঙ্গ করেন। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফিরোজ আহমদ, এবং ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুমোদন প্রাপ্তির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ৫১৯ কোটি টাকার ডিপিপি অনুমোদন হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানান, “অনেক আন্দোলন সংগ্রামের ফল এই ডিপিপি। এই ডিপিপি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হয়েছে। আমাদের আশা, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।” এছাড়াও তারা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। নয় বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা গত ২৩ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন করে আসছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল।
শনিবার বেলা ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন, যা রবিবার ডিপিপি অনুমোদনের খবর পাওয়ার পর শেষ হয়। অনশন চলাকালে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়া হয়েছিল।
এই প্রকল্পের অনুমোদনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র ছাত্র সমাজ এবং সংশ্লিষ্ট মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন সকলেরই আশা যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে এবং এই অঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নত হবে।