বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার পরিবারকে হুমকি হেনস্তা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ইয়াসিন আরাফাত,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রেজুয়ান আহমেদ নাইমের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, হুমকি, হেনস্তা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বুধবার দুপুরে নাচোল ডাকবাংলোতে এই সংবাদ সম্মেল অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান, ঢাকার গুলশান থানার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রেজুয়ান আহমেদ নাইম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নাচোলের খেসবা গ্রামে প্রতিবেশী আনারুল ইসলাম কয়েক মাস ধরে আমাদের বসতবাড়ির জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছে।
এনিয়ে এসিল্যান্ড অফিসে অভিযোগ দিলে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। মৌখিকভাবে আমার বাবা বাধা দিতে গেলে মারধরের চেষ্টা, প্রাণনাশের হুমকি দেয় আনারুল, তার ভাই মনিরুল ও তাদের লোকজন। এনিয়ে থানায় জিডি করা হলেও এখনও হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তারা।
তিনি আরও বলেন, গত ২৬ মে গভীর রাতে নিজেদের গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়ে আমার পরিবারের নামে আগুন দেয়ার মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিচ্ছে তারা। এমনকি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে আমাদের জমি দখলকারী আনারুল ও তার লোকজন। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রেজুয়ান আহমেদ নাইম।
সংবাদ সম্মেলনে রেজুয়ান আহমেদ নাইমের বাবা মাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণে মৌখিকভাবে বাঁধা দেয়ায় নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে প্রতিবেশী আনারুল ও তার লোকজন। থানায় জিডি করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপস্থিতিতেও আমাদেরকে মারধর করতে আসে ও হুমকি দেয় তারা। আমার ছেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। অথচ আমাদেরকে পতিত সরকারের সাথে সম্পৃক্ততার মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে তারা। আমাদের মানহানি করতে এসব করা হচ্ছে। এনিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি। তদন্তে আমাদের কোন দোষ পেলে নিজেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রেজুয়ান আহমেদ নাইমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷ এনিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে আনারুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিজের জায়গায় আমরা দোকানঘর নির্মান করছি। কিন্তু মাহিদুল ইসলামের বাধার কারনে তা করতে পারছি না। এসিল্যান্ড, থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন কুলকিনারা করতে না পেরে গত ২৫ মে দোকানের মালামাল থাকা গোয়ালঘরে থাকা আগুন দিয়েছে তারা।
এনিয়ে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, রাতে গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এনিয়ে তদন্তকাজ চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের মাহিদুল ইসলামের পক্ষে থানায় একটি জিডি গ্রহণ করা হয়েছে। যার তদন্তককাজ চলমান রয়েছে।
নাচোল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সুলতানা রাজিয়া মুঠোফোনে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একটি অভিযোগ ছিল। সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরে জানা যায়, বসতবাড়ির সামনে থাকা সড়কের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করছে একটি পক্ষ।