হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধনে ইবি শিক্ষার্থীরা

Share the post
ইবি প্রতিনিধি : গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আযহা মিলে মোট ১৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তাই ৪ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত আবাসিক হল গুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা চান বন্ধে সময় আবাসিক হল গুলো খোলা রাখা হয়। তাই বন্ধের সময় আবাসিক হল গুলো খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ছুটির নামে হল বন্ধের প্রহসন, মানি না মানবো না; হল খোলা রাখো, শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনা লাঘোব করো; ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জন্য হল খোলা, রাখতে হবে রাখতে হবে; শিক্ষার্থীদের বিরম্বনা, আর না আর না ইত্যাদি প্লাকার্ড দেখা যায়‌।
মানববন্ধনে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শহীদ আনাস হলের আবাসিক শিক্ষার্থী অর্নব হাসান বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যারা থাকেন তারা বেশির ভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। তো ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ছুটির সময় হল খোলা রাখে তাহলে আমাদের খোলা রাখলে তো কোনো সমস্যা নেই। হল গুলো খোলা রাখা হয় কারণ শিক্ষার্থীরা যারা যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের পড়াশোনা করতে পারে। কিন্তু সেটা আমাদের ক্যাম্পাসে হয় না বরং শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি শিকার হতে হয়। আজকে আমাদের ক্যাম্পাস থেকে চাকরি বাজারে তুলনামূলক সংখ্যা কম কারণ আমাদের ক্যাম্পাস বেশিরভাগ ছুটিতে থাকে এবং ছুটির সময় হল বন্ধ থাকে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের হয়রানির শেষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চরম দুর্ভোগের বিষয়। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সমস্যার অতি দ্রুত যেন সমাধান হয়।”
আল কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শহীদ আনাস হলের আরেক শিক্ষার্থী ছাফওয়ানুর রহমান বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এটি একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় আবাসিক খন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এভাবে বন্ধ রাখে এটি আমাদের বোধগম্য নয়। আবার আমরা যখনই আবাসিক হোলগুলো খোলা রাখার বিষয়ে কথা বলতে চাই তখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলে এটি একটি গ্রামাঞ্চল তাই এখানে নিরাপত্তার ইস্যু আছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন আবাসিক হল রয়েছে তেমনি শিক্ষকদের জন্য ডরমেটরি রয়েছে। তো ঈদে বন্ধের সময় তাদের ডরমেটরির নিরাপত্তা দিতে পারে তাহলে আমাদের আবাসিক হলগুলোতে দিতে পারবে না কেন? সর্বোপরি আমরা চাই বন্ধের সময় যেন আমাদের গুলো খোলা রাখা হয় যাতে করে আমাদের পড়ালেখার কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
এবিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, “আমরা সবসময় চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ভালো থাকে। কারণ তারা ভালো থাকলেই আমরা ভালো থাকবো। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি শহর থেকে অনেক দূরে তাই এখানে একটি নিরাপত্তার ইস্যু রয়েছে। তবুও তারা কতজন হলে অবস্থান করতে চায় সে বিষয়ে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এতে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে তারা যদি পুনরায় আবেদন করে তাহলে আমরা প্রভোস্ট কাউন্সিলের বসেএকটি শিক্ষার্থী বান্ধব সিদ্ধান্ত হবে বলে আমি আশা করছি।”

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি,যুবকের মৃত্যু

Share the post

Share the postমাহমুদুল ইসলাম সাগর ,সাভার উপজেলা প্রতিনিধি : সাভারে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির (১৯) নামে এক যুবককের মৃত্যু হয়। এরআগে গত ৯ আগস্ট গণপিটুতি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন পথচারীরা। রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাছিম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এরআগে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে […]

রাকসু’র ভোটার তালিকায় নাম না আসায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন

Share the post

Share the post সৈয়দ মাহিন ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:রাকসু’র ভোটার তালিকায় নাম সংযুক্ত করে নির্বাচন করার বৈধতা চেয়ে অথবা রাকসুতে জমা হওয়া ফি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন মো. সারোয়ার জাহান। তিনি রাজশাহীর […]