লক ডাউন হওয়া মাদারীপুরের সাথে বরিশাল জেলার অভ্যন্তরীন রুটের সড়ক ও নৌ-পথের সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন
নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলার অভ্যন্তরীন রুটের সড়ক ও নৌ-পথের সকল যোগাযোগ বন্ধ ।পাশাপাশি অভ্যন্তরীন সকল রুটের প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসিয়েছে থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার (২১ মার্চ) বিকেল থেকে মাদারীপুরের সাথে বরিশাল জেলার অভ্যন্তরীন রুটের সড়ক ও নৌ-পথের সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যে মাদারীপুরকে লক ডাউন করা হয়েছে। সে সুবাধে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় অতিসম্প্রতি প্রবাস থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা গৌরনদীতে যাতায়াত শুরু করেছেন। এজন্য বরিশালের মানুষ মাদারীপুরে ও মাদারীপুরের মানুষ যাতে বরিশালে যাতায়াত করতে না পারেন সে জন্য প্রাথমিকভাবে বন্ধ করা ১২টি খেয়া নৌকার ঘাটে ও গৌরনদী সীমান্তবর্তী অভ্যন্তরীন সড়ক পথে শনিবার বিকেল থেকে পুলিশী পাহারা বসানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরবর্তী নিদের্শনা না আসা পর্যন্ত পুলিশী পাহারা চলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান বলেন, গৌরনদীর পালরদী নদীর অপরপ্রান্তে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার অবস্থান। ওই উপজেলার অধিকাংশ পরিবারের গৃহকর্তারা প্রবাসে থাকেন। তাদের সবকিছুই বরিশালের গৌরনদী কেন্দ্রীক। ইউএনও আরও বলেন, প্রবাসে করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারন করার পর গত কয়েকদিনে কালকিনির অধিকাংশ প্রবাসীরা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। যারা অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে পালরদী নদীর খেয়া নৌকা পারাপার হয়েই অবাধে গৌরনদী উপজেলার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যে কারণে গৌরনদীবাসীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একারণেই পালরদী নদীর ১২টি খেয়া নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।