সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ চরজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সেহড়াউন্দ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন—কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সেহড়াউন্দ গ্রামের একই পরিবারের আরব আলী (৫৫),তার স্ত্রী রত্না আক্তার (৪৫) ও তার দুই ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (২৫) এবং মো. শফিকুল (৩০)। আর অভিযুক্তরা হলেন—একই গ্রামের প্রতিবেশী মো. সাকিম মিয়া, মুল্লুক মিয়া, ফুল মিয়া লাকমিয়া ও নিজাম উদ্দিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেহড়াউন্দ গ্রামের আরব আলীর পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের মো. সাকিম মিয়াসহ তার পরিবারের বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন স্থানীয় নদীর পাড়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আরব আলীর ছেলে মো. মোবারকের (২০) সঙ্গে একই গ্রামের মো. সাকিম মিয়ার (২৭) তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মোবারকের ওপর চড়াও হন সাকিম। পরে মোবারক তার বাবা আরব আলীর নিকট ঘটনাটি জানায়। জানার পর আরব আলী বিচার চেয়ে সাকিমসহ তার পরিবারকে গালাগালি করেন। এই ঘটনার পর সাকিম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আরব আলীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আরব আলী ও তার স্ত্রী রত্না আক্তারসহ তার দুই ছেলে মো. জুয়েল মিয়া এবং মো. শফিকুল নামে চারজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আহতরা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে আহত আরব আলী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা ও বাড়ি ভাঙচুর করে সাকিম মিয়াসহ তার লোকজন। এতে আমি ও আমার স্ত্রীসহ দুই ছেলে গুরুতর আহত হই। আমরা সবাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। তবে আমার স্ত্রী রত্নার অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। একটু সুস্থ হয়ে এসে মামলা করব। ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।