নির্বাচন পেছানোর পক্ষে ডা. শাহাদাত, রেজাউলের ‘না’
চট্টগ্রাম : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এখন। ইতোমধ্যে ১৩০টি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশে ইতালিফেরৎ এক সদস্যসহ ওই পরিবারের ৩ সদস্যের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলেও ইতোমধ্যে দুইজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকিজনও সুস্থতার পথে। তবুও বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এখন করোনা-আতঙ্ক। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুত হলেও ন্যুনতম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কেউ।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সন্ধ্যায় নগরে এ সংক্রান্ত এক সেমিনারে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও প্রচারণায় লোকসমাগম শিথিল করে ডিজিটাল প্রচারণা চালাতে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে।
এ অবস্থায় আসন্ন মেয়র নির্বাচন পেছানোরও দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনও এ দাবিতে একমত। তবে নির্বাচনের আগে এবং পরে টানা বন্ধ থাকায় অনেকে ছুটিতে থাকবেন, বেড়াতে যাবেন-এই বিষয়টিকেই মুলত নির্বাচন পেছানোর ক্ষেত্রে সামনে আনেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সাথে মেয়র প্রার্থী ও তাদের প্রস্তাবক, সমর্থক এবং নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই দাবি জানান ডা. শাহাদাত হোসেন। বিরোধীপক্ষের জন্য এখনো নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে উঠেনি বলেও অভিযোগ করেন ডা. শাহাদাত।
তবে নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে দেখা দিলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েনি। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে তেমন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়নি। কাজেই এটি বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক নয়। তাই করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পেছানোর দাবি যুক্তিযুক্ত নয় বলে মনে করেন তিনি। রেজাউল জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। নগরবাসী সবাই নির্বাচনমুখী। এ জন্য সবাই প্রস্তুত।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ৬ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।